ছাত্ররাজনীতি কঠিন সংকটের মধ্য দিয়ে গেছে: শিবির সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:৪৭
শেয়ার :
ছাত্ররাজনীতি কঠিন সংকটের মধ্য দিয়ে গেছে: শিবির সভাপতি

স্বৈরাচার সরকারের আমলে ছাত্ররাজনীতি একটি কঠিন সংকটের মধ্য দিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।  আজ শনিবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাগিচা রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিবির সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে গণরুম কালচার, ক্যাম্পাসে হল দখল, সিট বাণিজ্য এবং অন্যান্য সংগঠনের সহাবস্থান সহ্য না করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এর বিপরীতে, ছাত্রশিবির সহাবস্থানের ভিত্তিতে কাজ করে এবং সকলের জন্য একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর পৈশাচিক নৃত্যের মাধ্যমে তাদের জুলুমতন্ত্রের যাত্রা শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে চিরুনি অভিযানের নামে ছাত্রশিবির নিধনের মিশন শুরু হয়। হাজার হাজার ছাত্রশিবির নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়, শত শত ভাইকে হত্যা করা হয় এবং অনেক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ছাত্র-জনতা এবং সমগ্র জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে এবং অসংখ্য জনতাকে আহত ও পঙ্গু করে দেয়, যার অগণিত প্রমাণ গণমাধ্যমের কাছে রয়েছে।’

শিবির সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি ছাত্ররাজনীতির সকল শাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ছাত্রদের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য মেধাবৃত্তি, ভর্তি সহায়তা, চিকিৎসা সেবা এবং ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা প্রদান করছে। ২৪’র আন্দোলনের আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে সামর্থ্য অনুযায়ী দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে।

মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। সভায় শিবিরের কার্যক্রম সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়।

মতবিনিময় সভায় আরও ‍উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম, আজিজুর রহমান আযাদ, ডা. সাদেক আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহিম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, সিদ্দিক আহমেদ, মিজবাহ উদ্দীন, আহমেদ তাওফিক, উসামা রাইয়ান, মিজবাহুল করিম, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।