‘শেখ হাসিনাকে ভারতের আশ্রয় দেওয়া মানে খুনিকে আশ্রয় দেওয়া’

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৭
শেয়ার :
‘শেখ হাসিনাকে ভারতের আশ্রয় দেওয়া মানে খুনিকে আশ্রয় দেওয়া’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার বসে নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবেশী একটা দেশ বলছে- শেখ হাসিনা সেখানে আছে। ভারতের সঙ্গে তো আমাদের প্রত্যাবর্তন চুক্তি আছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে কূটনৈতিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি সমাধান করতে পারে, তাকে ফিরিয়ে আনতে পারে। আর তা না হলে বাংলাদেশে যত শীর্ষ সন্ত্রাসী আছে তারা সেখানে আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ নিবে। শেখ হাসিনা সর্বশ্রেষ্ঠ শীর্ষ সন্ত্রাসী, খুনি। যে শিশুর রক্ত পান করতে পারে তার মতো শীর্ষ সন্ত্রাসী আর কে হতে পারে। তাকে আশ্রয় দেওয়া মানে অপরাধকে আশ্রয় দেওয়া। 

আজ শুক্রবার জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এখনো স্বৈরাচারের হিংস্র থাবা থেকে মুক্ত হতে পারছি না। গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে ৫০-৬০টি জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ শাট ডাউন করা হয়েছে। আমরা প্রায় দিনই বলেছি- স্বৈরাচারের দোসররা ভিতরে আছে, এরা কিন্তু নাশকতা করবে। গতকালের ঘটনা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা কিন্তু কয়েকবার বলেছি। তাদের দাবি-দাওয়া থাকলে সরকারের কাছে আবেদন নিবেদন করতে পারত। কিন্তু তারা তা না করে গতকাল শাট ডাউন করলো কেন? তারা শেখ হাসিনার আমলে এ কর্মসূচি নেয়নি কেন? কারণ এরা শেখ হাসিনার লোক । এ কর্মসূচির সঙ্গে যারা জড়িত তারা সরাসরি শেখ হাসিনার লোক। এ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে তারা ষড়যন্ত্র করছে। আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সংস্থাটি গঠন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। যেহেতু এটি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত করেছেন, এটি ধ্বংস করার জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনা নানা ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা এ নামটি রাখতে চায় না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘আপনারা আনুপাতিক ভোটের নির্বাচনকে সামনে এনে জটিলতা তৈরি করবেন না। আপনারা সুপরিকল্পিতভাবে কোনো জটিলতা তৈরি করবেন না। পৃথিবীর অনেক দেশ এ পদ্ধতি চালু করে ফিরে এসেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রত্যেকটা দল সমর্থন করেছে। এটা গণতন্ত্রকামী মানুষের সমর্থিত সরকার, আপনাদেরকে জনগণের অন্তরের ভাষাটা আগে বুঝতে হবে। আপনারা সংস্কারের কথা বলে যে বিলম্ব করছেন তাতে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হবে। যদি আপনাদের আন্তরিকতা থাকে তাহলে দ্রুত সংস্কার করে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. পারভেজ রেজা কাকন প্রমুখ।