বাকিতে সিগেরেট না দেওয়ায় মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে
বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে মারধর, দোকান ভাঙচুর ও দোকান থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভিমখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জামালগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম সাহাব উদ্দিন। তিনি জামালগঞ্জ সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী অমল চন্দ্র দত্ত (২৭) সিলেট এমসি কলেজের মাস্টারস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। উপজেলার ভিমখালী বাজারে বাবার মোদি দোকানে অমল চন্দ্র দত্ত সহযোগিতা করতেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে সাহাব উদ্দিন সিগারেট কেনার জন্য মুক্তার হোসেন নামে একজনকে অমল চন্দ্রের মুদি দোকানে পাঠান বাকিতে সিগারেট নেওয়ার জন্য। কিন্তু আগের ৪৫০ টাকা বাকি থাকায় সিগারেট না দেওয়ায় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে পরদিন ১ অক্টোবর রাত ৯টায় সাহাব উদ্দিনসহ তার ১০-১৫ জন সহযোগী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকানে হামলা চালান। এ সময় দোকানে থাকা লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতি করে এবং দোকানের ড্রয়ারে থাকা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যান এবং ওই অমল চন্দ্রকে মারধর করে আহত করেন।
এ সময় ওই দোকানি আত্মরক্ষায় দৌড়ে নিজ বাড়িতে গেলে হামলাকারীরা তার পিছু নিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাড়িতে হামলা চালান। এতে দোকানিসহ তার পরিবারের সদস্যরা আহত হন। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী জামালগঞ্জ সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে জামালগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষরা এই মামলাটি সাজিয়েছেন।
আহত শিক্ষার্থী অমল চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘আমি ন্যায় বিচার চাই, তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি। মামলার পর থেকে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে, এ কারণে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামাল হোসাইন জানান, মামলার তদন্ত চলমান আছে। একই সঙ্গে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।