কোরআন মেনে জীবন পরিচালনার কারণে সাঈদী মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন
কোরআন মেনে জীবন পরিচালনা করার কারণেই আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে আল্লাহ মানুষের মনে জায়গা করে দিয়েছেন বলে মনে করেন তার ছেলে শামীম সাঈদী। আজ বুধবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম সাঈদী বলেন, ‘আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী কোরআনকে বুকে ধারণ করে, কোরআন মেনে জীবন পরিচালনা করেছিলেন। কোরআনকে বুঝে তিনি কোরআনের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যেহেতু তিনি কোরআনকে মেনেছেন কোরআনকে বুঝেছেন তাই আল্লাহ তার সম্মান পৃথিবীতে বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দির্ঘ ১৩ বছর বিনা অপরাধে কারাগারে থাকার পরে হাসিমুখে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিরোজপুরসহ গোটা বাংলাদেশের মানুষ কখনো আল্লামা সাঈদীকে ভুলে যায়নি। কারণ তিনি কোরআনের পাখি ছিলেন। কোরআন মেনে জীবন পরিচালনা করতেন। তাইতো আল্লাহ মৃত্যুর পরেও তার প্রতি মানুষের ভালবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ভালবাসার পিছনে একটাই কারণ, সেটা হলো কোরআন।’
তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসার বার্ষিক পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মো. মুকিত হাসান খাঁন। তানযীমুল উলুম ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. মিম আতিকউল্লাহর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব, তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদ্রাসার বরিশাল শাখার অধ্যক্ষ মাওলানা মিজানুর রহমান খান।