ভারতে বসে ভয়ংকর ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:১৫
শেয়ার :
ভারতে বসে ভয়ংকর ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: রিজভী

ভারতে বসে শেখ হাসিনা ভয়ংকর ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বুধবার রাজধানীর গোড়ানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন। 

রিজভী বলেন,‘শেখ হাসিনা ভিডিওর মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি বাংলাদেশের কাছেই আছি। গোপালগঞ্জে যদি কেউ কিছু করতে আসে তাহলে তার হাত গুড়িয়ে দাও।” তার কথার মধ্যে কিন্তু শান্তির কথা নেই, স্বস্তির কথা নেই। তিনি যে এত শিশু-কিশোর বাচ্চাদেরকে হত্যা করলেন তারপরও তার মধ্যে কিন্তু কোনো অনুশোচনা নেই। এখনো তার মনের মধ্যে দখলদারিত্বের মনোভাব। এই ধরনের একজন ঘাতক মহিলাকে আশ্রয় দিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ।’

তিনি বলেন,‘চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। এইবারের দুর্গাপূজায় কোথাও কি অশান্তি হয়েছে?কোনো অশান্তি হয়নি। এখানে বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পাহারা দিয়েছে। এমনকি আমাদের দেশের মাওলানা যারা হুজুর তারা পর্যন্ত পূজামণ্ডপ পাহারা দিয়েছে। এই দেশে হিন্দু-মুসলমান যারা যুগ যুগ ধরে তাদের নিজ ধর্ম পালন করছে। এক শেখ হাসিনা এবং শেখ হাসিনাকে যারা আশ্রয় দিয়েছে তারা অপেক্ষায় থাকেন কি করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে তাদের নিরাপত্তা নেই এই কথাটি বলা যায়।’

রিজভী বলেন,‘সাতক্ষীরার একটি মন্দিরে দুপুর আড়াইটার সময় একটি পূজামণ্ডপ থেকে মুকুট কে জানি চুরি করেছ। এখানে তো বক্তব্য আছে। ঠিক আড়াইটার দিকে ওই মন্দিরের যিনি প্রধান পুরোহিত এবং আরও যারা কর্মকর্তারা ছিলেন তারা হঠাৎ করে উঠে গিয়েছিলেন। কিন্তু কেন?এটাতো বড় প্রশ্ন।এরপরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রতিবাদ জানাবেন, ‘‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি।” বাংলাদেশের কোনো মন্দিরে কোন পূজামণ্ডপে একটি গাছের পাতাও পড়েনি। আর আপনি সেই দিল্লি থেকে বলে দিলেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সংশয়ের কথা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, এটা একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ।’

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন,‘এত সুন্দর একটি পূজা উৎসব হয়ে গেল তারপরও আপনারা বলেছেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আপনারা উদ্বিগ্ন। আমি ভারতের নীতির নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনার পশ্চিমবাংলার বর্ধমান একটি জেলা। ওটাও আরেকটি বাংলা। যেটা ভারতের মধ্যে সেইখানেও এই রকম একটা ঘটনা হয়েছে। মুকুট চুরি, কই সেই বিষয়ে তো দিল্লির নীতিনির্ধারকরা কোনো কথা বললেন না। ওখানকার পররাষ্ট্র দপ্তর তো একটা বিবৃতি দিলেন না। আপনাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা আপনাদের পদতলে রাখতে চান।বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে চান। যেমন আপনারা শেখ হাসিনার মাধ্যমে রেখেছিলেন। সেইটা হাতছাড়া হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন,‘সালমান এফ রহমানের মতো বড় সাপের থেকেও বিষধর ছোট সাপ তথা আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এখনো বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেটবাজি করে যাচ্ছে। এদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা ইউনুস মৃধার সঞ্চালনায় আয়োজিত ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধির লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিব, বিএনপির ফরেন এফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ডা. জাহিদুল কবির, আরিফুর রহমান তুষার, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা ডা. আউয়ালসহ নেতারা।