নাসার গবেষক দলে কেন্দুয়ার তারিকুজ্জামান
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) -এর মহাকাশে উদ্ভিদ জন্মানোর গবেষণায় গবেষক হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান। তিনি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের পেড়ি গ্রামের মরহুম মমতাজ উদ্দিন এবং মোছা মালেকা খাতুনের সন্তান। তারিকুজ্জামান বিজ্ঞানী লুইজিয়ানা টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স বিভাগে পিএইচডি করছেন।
তারিকুজ্জামানের গবেষণা দল, ‘লা টেক বায়োমাস’ মহাকাশে উদ্ভিদ জন্মানোর একটি অনন্য উপায় নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তারা মানুষের মূত্র ব্যবহার করে মাটি ছাড়া মহাকাশে কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনা পরীক্ষা করছেন। এই প্রকল্পে তারিকুজ্জামানসহ চারজন গবেষক কাজ করছেন, যা বাংলাদেশের জন্য গৌরবের বিষয়।
তারিকুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের গবেষণা দল নতুন কিছু উদ্ভাবনের লক্ষ্যে কাজ করছে, যা মহাকাশে কৃষির ভবিষ্যত বদলে দিতে পারে।’
তিনি তার গবেষণার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এবং বলেন, ‘এই সম্মান শুধু আমার পরিবারের নয়, গোটা বাংলাদেশের।’
তারিকুজ্জামান জানান, তিনি ২০১৪ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক পাস করেন। পরে লুইজিয়ানা টেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং বর্তমানে সেখানেই পিএইচডি করছেন।
তার বড় ভাই জিলু মিয়া বলেন, ‘ভাইয়ের সাফল্যে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমরা আশা করি, তার গবেষণা বাংলাদেশের জন্য গর্ব বয়ে আনবে।’
কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, মোহাম্মদ তারিকুজ্জামানের এই সফলতা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। তার এই সাফল্যে কেন্দুয়া তথা সারাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পাবে। মোহাম্মদ তারিকুজ্জামানের সাফল্য বাংলাদেশের বিজ্ঞানচর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তিনি যেমন তার পরিবার ও গ্রামের গর্ব, তেমনি বাংলাদেশের সুনামও বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিচ্ছেন।