শোকজের জবাব হয়নি, সেই প্রধান শিক্ষককে তলব
কোনো কারণ ছাড়াই সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়দল উচ্চ বিদ্যালয় গত সোমবার (৭ অক্টোবর) বন্ধ রাখা ও গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়ার ঘটনায় প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে শোকজ করে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
গতকাল সোমবার শোকজের জবাব দেওয়ার তারিখ থাকলেও শোকজের জবাব সঠিক হয়নি তাই আবারও সেই প্রধান শিক্ষককে অফিসে ডেকেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান শিক্ষককে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন তিনি। এদিকে ওই দিন শোকজের চিঠি পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, শোকজের জবাব আমি দিয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করে বলা হয়েছে, কেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার জবাব দেওয়ার জন্য। আমি অফিসিয়াল কাজে বাহিরে ছিলাম ওই শিক্ষক দুপুরে অফিসে এসে একটি লিখিত জবাব দিয়ে চলে যায় একটি কাজে আমাকে ফোনে জানিয়ে। আমি অফিসে এসে দেখলাম ওই ঘটনার জবাব সঠিক হয়নি তাই আবার শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে অফিসে আসতে বলেছি। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনিয়মে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম বলেন, ‘স্কুল বন্ধ রাখার কোনো কারণ ছিল না। ওইদিন তবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গত সোমবার (০৭ অক্টোবর) বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তালাবদ্ধ ছিল স্কুলের গেইটসহ প্রতিটি দরজা। তখন কোনো শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ছিল না স্কুল এলাকায়। এই ভিডিও ফুটেজ ফেইসবুকে প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে পরে সবার। আর স্থানীয় বাসিন্দা অভিবাবকগণও জানেন না কেন স্কুল বন্ধ ছিল। এ নিয়ে সচেতন ও অভিভাবক মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন অভিবাবকরা।
এছাড়াও স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব বিস্তার করে নিয়মিত স্কুলে আসতেন না, কারণ ওনার বাড়ি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ধনপুর ইউনিয়নে ললিয়ানপুরে। এছাড়াও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থেকে বির্তককিত এই শিক্ষক নিজেকে ক্ষমতাধর মনে করতেন। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিজেকে পাল্টিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আতাত শুরু করেছেন নিজেকে রক্ষায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের কাছে জানতে চাওয়া মাত্রই গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমি ছুটেতে ছিলাম। আজ উপজেলায় খেলা ছিল সেখানে আমিসহ একজন শিক্ষক ছিলাম। স্কুল বন্ধ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে আরও ভাইরাল করেন। দেখি কে কি করতে পারে। আমি স্কুলে গিয়ে দেখব কি করতে পারি। ’