‘দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেন’

বিনোদন প্রতিবেদক
১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪৯
শেয়ার :
‘দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেন’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত শোবিজের শিল্পীরা। একদল অবস্থান নিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আর অন্যদল ছিলেন গণমানুষের পক্ষে। গেল ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এরপর সংস্কার শুরু হয় দেশের বিভিন্ন সরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে। তারই ধারাবাহিকতায় শিল্পীদের সংকট নিরসনে সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সদস্যদের একজন নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু আহসান। যিনি ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ছিলেন রাজপথে। সেই অভিনেতা এবার কথা বললেন তার সহকর্মীদের নিয়ে।

জিতু আহসান বলেন, ‘নিজের প্রফেশনের মানুষদের নিয়ে সাধারণত আমি কোনো পোস্ট দেই না। ৫ অগাস্টের পর আমার কিছু সহকর্মী নানা রকম ট্রলের শিকার হচ্ছেন, কিন্তু তারা ভীষণ ধৈর্য এবং নীরবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এটা ভীষণ প্রশংসনীয় একটা ব্যাপার! কিন্তু দুই একজন সহকর্মী আছেন যারা লজ্জিত হওয়া তো দূরের কথা, নানান রকম উস্কানি মূলক পোস্ট, লাল প্রোফাইল ধারীদের রাষ্ট্রদ্রোহী এবং আরও নানা কথা বলেই যাচ্ছেন, যেন দেশটায় অশান্তি আরও বাড়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যা অন্যায় হচ্ছে সেটার কথা বলছেন, এটা ভালো বিষয়! কিন্তু লজ্জা লাগে না তখন, ১৫ বছরের এই ভয়াবহ দুর্নীতি, অন্যায় এবং হত্যার বিরুদ্ধে তারা একটা টু শব্দও করেন নাই। বরং দুর্নীতিবাজগুলোর সঙ্গে হাস্যজ্জল ছবি পোস্ট করেছেন। যে ভয়াবহ দুর্নীতি আর অন্যায় হয়েছে, তার ব্যাপারে যদি একটা কথা বলতেন তাহলে আমি তাদের সন্মান করতাম। এই ১৫ বছর কিংবা এখনো যদি বলতেন বুঝতাম বিন্দু মাত্র মোরাল ভ্যালু আছে।’

সব জিতু আহসান বলেন, ‘কখনোই বলেন নাই, উন্নতির ফিরিস্তি দিয়েছেন আর আসল উদ্দেশ্য ছিল এমপি হওয়া, যেটা পারেন নাই… নিজে শান্তিতে থাকেন, দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেন।’