স্কুল মাঠে হচ্ছে ঘাসের চাষ
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে কাতিহার হাজ্বী দবির উদ্দীন চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে চাষ করা হচ্ছে নেপিয়ার ঘাস। এতে স্কুল মাঠে খেলাধুলা ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ও অভিভাবকরা। তারা জানান, বাৎসরিক টাকার বিনিময়ে স্কুল মাঠে ঘাস চাষ করতে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর দারাজ নুর বিপ্লব বলছেন, ‘মাঠের বিভিন্ন ফলের গাছ সংরক্ষণের জন্য নেপিয়ার ঘাস আবাদ করা হচ্ছে। বিনিময়ে কোনো অর্থ নেওয়া হচ্ছে না।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় মাঠে ঘাষ চাষা করা হচ্ছে। স্কুলের ফটকের সাথের জমি থেকে শুরু করে মূল একাডেমিক ভবনের কাছাকাছি জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ হচ্ছে। ঘাসের তিন দিকে ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা রয়েছে। বিদ্যালয়ের মূল ফটকের দিকে দেওয়া হয়েছে বাশেঁর বেড়া।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বিকেল হলে স্থানীয় শিশুরা খেলাধুলা করতে পারে না। প্রধান শিক্ষক মাঠে ঘাসের আবাদ করে রেখেছে। মাঠটি দ্রুত শিশুদের ও শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করার উপযোগী করা হোক।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ের মাঠে ঘাস, শ্রেণিকক্ষগুলোতে ময়লা-আবর্জনা, নোংরা বাথরুমসহ স্কুলে নানা সমস্যা রয়েছে। এগুলো নিরসনে প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই।
শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, বিদ্যালয়ের ফটকে নাম ফলক নেই, অথচ প্রধান শিক্ষক মাঠে চাষ করছেন ঘাস। স্কুল মাঠ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকার কথা, সেখানে আবাদ কেন হবে।
স্থানীয় কিশোর হরিকান্ত, দেবনাথসহ কয়েকজন জানান, মাঠে এক সময় বিভিন্ন গাছের বাগান করা হয়েছিল। সেটি তুলে দিয়ে এখন মাঠে ঘাস আবাদ করা হচ্ছে। বিকেল হলে যে, তারা একটু খেলাধুলা করবে, তার কোনো ব্যবস্থা নেই।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওমর দারাজ নুর বিপ্লব বলেন, মাঠের বিভিন্ন ফলের গাছ সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় একজনকে প্রায় ৪০ শতাংশ জমিতে ঘাস আবাদ করতে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সময় প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘাস চাষ করা কৃষকের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মনে নেই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
