বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার বিজয়ীরা
বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবার আয়োজিত হয়ে গেল উৎসবের ২৯তম আসর। অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশও অংশগ্রহন করে এ উৎসবে। আউইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা বিভাগে মাকসুদ হোসাইনের ‘সাবা’ ও বুসান ফিল্ম বাজারে অংশ নেয় ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর ‘ঢাকার নাগিন’প্রজেক্ট।
এর আগে গত বছর বুসান থেকে প্রথমবারের মতো ইকবাল হোসাইনের ‘বলী’র হাত ধরে নিউ কারেন্টস পুরস্কার জয় করে বাংলাদেশের সিনেমা।
তবে এবার এ আসরের প্রধান আকর্ষণ ছিল প্রতিযোগিতামূলক বিভাগ নিউ কারেন্টস। এর মূল কারণ হলো, প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমার নির্মাতারা এ শাখায় সিনেমা জমা দেয়ার সুযোগ পান। এ বিভাগে এবার যৌথভাবে এ পুরস্কার জিতেছে কোরিয়ার সিনেমা ‘দ্য ল্যান্ড অব মর্নিং কাম’ ও মিয়ানমারের সিনেমা ‘এমএ-ক্রাই অব সাইলেন্স’।
এ সিনেমাটি কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, নরওয়ে ও কাতারের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে। এ দুটি সিনেমাই পাচ্ছে ৩০ হাজার করে ডলারের পুরস্কার। যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এ উৎসবে প্রতিযোগিতামূলক আরেকটি বিভাগ কিম জিসোক। এ বিভাগে যৌথভাবে পুরস্কার পাচ্ছেন ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা রিমা দাস ও তাইওয়ানের নির্মাতা টম লিন ইউ। তারা পুরস্কার পাচ্ছেন ‘ভিলেজ রকস্টার-২’ও ‘ইয়েন অ্যান্ড এআই-লি’সিনেমার জন্য।
এদিকে বুসান মের্চেন্যান্ট পুরস্কার জিতেছে পার্ক মিনসো ও কেয়ানিয়াং পরিচালিত সিনেমা ‘ওয়ার্ক অ্যান্ড ডেজস’। আর যৌথভাবে অ্যানাদার হোম সিনেমার জন্য পুরস্কার জিতেছেন ফ্রাঙ্কি সিন। এ সিনেমাটি তাইওয়ান, হংকং, চীন ও ফ্রান্সের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত।
এ উৎসবে অ্যাক্টর অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছেন দুইজন, যথাক্রমে ‘দ্য ফাইনাল সেমিস্টার’সিনেমার অভিনেতা ইয়ো লি হা এবং ‘হামিং’সিনেমার অভিনেত্রী পার্ক সিয়ন।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
নিউ কারেন্টস ও নেটপ্যাক পুরস্কারের পাশাপাশি কেবি নিউ কারেন্টস অডিয়েন্স পুরস্কার পেয়েছে ‘দ্য ল্যান্ড অব মর্নিং কাম’।
এছাড়াও উৎসবে কোস্টারিকা ও স্পেনের সিনেমা ‘মেমোরিজ অব আ বার্নিং বডি’ ফ্লাশ ফরোয়ার্ড অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। কোরিয়ার ‘কে-নম্বর’ তথ্যচিত্র বিভাগে ডকুমেন্টারি অডিয়েন্স পুরস্কার জিতেছে। সিনেমা দুটি পরিচালনা করেছেন যথাক্রমে আন্তোনেল্লা সুদাসাসি ফার্নিস ও জো সিইং।
এদিকে এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার সিনেমা ‘টেল অব দ্য ল্যান্ড’ ফিপরেস্কি শাখায় পুরস্কার জিতেছে।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’
প্রসঙ্গত, অক্টোবরের ২ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হয় গত ১১ অক্টোবর। উৎসবের শেষে ঘোষণা করা হয়েছে আগামী বছরের শিডিউল। ৩০তম বুসান চলচ্চিত্র উৎসব আর অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে না। আগামী বছর উৎসবটি সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৬ তারিখ পর্যন্ত। আর এ উৎসবে এশিয়ান ফিল্ম বাজার চলবে ২০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর।