মোদির দেওয়া সোনার মুকুটের চোরকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
১২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫২
শেয়ার :
মোদির দেওয়া সোনার মুকুটের চোরকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় চোরকে ধরিয়ে দিতে পারলে সন্ধানকারীকে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ পুরস্কারের ঘোষণা দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে মনিরুল লিখেছেন, ‘সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে প্রতিমার মাথার স্বর্ণের মুকুট চুরি হয়েছে। চোরকে ধ‌রি‌য়ে দিতে পারলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সন্ধানকারীকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হবে।’

জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিটের মধ্যে স্বর্ণের মুকুটটি চুরি হয়। এ ঘটনার পর মন্দিরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় গেছে এক যুবক মুকুটটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। 

পুরোহিত দিলীপ কুমার ব্যানার্জি বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে পূজা শেষে পুরোহিত দিলীপ কুমার ব্যানার্জি সেখানে সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকারের কাছে মন্দিরের চাবি দিয়ে বাড়ি যান। ওই সময় মন্দির প্রাঙ্গণে রেখাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখান থেকে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া প্রতিমার মাথার মুকুট চুরির ঘটনা ঘটে।’

সেবায়েতের দায়িত্বে থাকা রেখা সরকার বলেন, ‘দুপুরে একটি অন্নপ্রাশনের পূজা শেষ করে পুরোহিত বাবু মন্দিরের চাবি আমার কাছে দিয়ে বাড়িতে চলে যান। এরপর আমি পূজার কাজে ব্যবহৃত বাসনপত্র ধোয়ার জন্য পাশের টিউবওয়েলে যাই। পরে সেখান থেকে ১ থেকে ২ মিনিট পরে এসে দেখি প্রতিমার মাথার মুকুটটি নেই। পরে আমি মন্দিরে থাকা সবাইকে বিষয়টি জানাই।’

এদিকে স্থানীয়রা জানান, মন্দিরের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজে মুকুট চুরির সঙ্গে জড়িত ওই যুবক স্থানীয় নয়। শ্যামনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সীমান্ত এলাকায় তার ছবি ছড়িয়ে দিলেও কোনোভাবে তাকে কেউ শনাক্ত করতে পারেনি। সিসি ক্যামেরায় জিন্সের প্যান্ট ও সাদা টি-শার্ট পরিহিত যুবকের একার ছবি ধরা পড়লেও চুরির ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারেন বলে তাদের ধারণা।

এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ ও পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ঘটনার পর থেকে পুরোহিত দিলীপ মুখার্জীসহ অনেককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।