ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশে আনন্দের সঙ্গে দুর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে: গয়েশ্বর
ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে আনন্দের সঙ্গে এই প্রথম দুর্গা উৎসব উদযাপিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গা উৎসব উপলক্ষে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে তার নিজ বাড়িতে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় শুভেচ্ছা জানান ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে আনন্দের সঙ্গে এই প্রথম দুর্গা উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকে বিশ্বাসী নয়। সব ধর্মের মানুষ বাংলাদেশে এখন নিরাপদ। যার যার ধর্ম এখন যার যার উপাসনালয়ে গিয়ে মানুষ প্রার্থনা করতে পারছে এই বাংলাদেশে। নেই কোনো বাধা, নেই কোনো আপত্তি।’
দুর্গোৎসব উপলক্ষে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে গতকাল প্রায় দশ হাজার মানুষের ভোজের আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে তার বাড়িতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা শিরীন সুলতানা, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, তাবিথ আউয়াল, নিলোফার চৌধুরী মনি, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, আক্তার হোসেন, মোজাদ্দেদ আলী বাবুসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানার বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মিলনমেলা হয়। গণফোরামের সুব্রত চৌধুরীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও এ মিলন মেলায় যোগ দেন।

শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ছাত্র-বিপ্লবের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নেন। সেখানে বসে নানা ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশে থেকে প্রতিটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছে। এখন তারা হতাশ হয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। এই গুজবে দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ পা দেবে না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ি তারা যেভাবে সারাদেশে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে দিনরাত পালা করে পাহারা দিচ্ছে, এ কারণে ফ্যাসিবাদের দোসররা এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনো অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেনি। এ বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বিগ্নে পূজা উদযাপন করছে। এ জন্য আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিএনপির কাছে ঋণী।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?