পশ্চিমবঙ্গে প্রবল হচ্ছে চিকিৎসকদের আন্দোলন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১০ অক্টোবর ২০২৪, ২০:২২
শেয়ার :
পশ্চিমবঙ্গে প্রবল হচ্ছে চিকিৎসকদের আন্দোলন

পশ্চিমবঙ্গে ক্রমেই প্রবল হচ্ছে চিকিৎসক আন্দোলন। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে আরো বেশি সংখ্যায় সামিল হচ্ছেন সিনিয়ররা। এবার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকরাও কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। 

কলকাতার সবচেয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল ই এম। সেখানকার সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশকে চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিভিন্ন বিভাগের ২৩ জন চিকিৎসক ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। চলতি আন্দোলনে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। 

ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অনশনের সাড়ে চার দিন পার হয়ে গিয়েছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা নিষ্ফল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হুঁশিয়ারি দিলেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

এর আগে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা গণ ইস্তফা দিয়েছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, কর্মবিরতি থেকে অনশনের কর্মসূচি নিয়েছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকরা এই আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন, তারা প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিয়েছেন। এবার সরকারের চিন্তা বাড়িয়ে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন। ইএম হাসপাতালের চিকিৎসকরা অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালের সহকর্মীদের এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন। 

ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে অনশন করছেন পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের সাত জন জুনিয়র ডাক্তার। সরকার তাদের ১০ দফা দাবি কেন মানছে না, এই প্রশ্ন তুলে সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতির কথা না বললেও ইস্তফা দিয়েছেন।

প্রথমে আর জি কর মেডিক্যালের প্রায় ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক একসঙ্গে ইস্তফা দেন। সবমিলিয়ে সেখানে শতাধিক বেশি চিকিৎসক পদত্যাগ করেছেন। এরপর রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা ইস্তফা দিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে কমবেশি ২০০ জন সিনিয়র চিকিৎসক ইস্তফা দিয়ে আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন।  এর মধ্যে রয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ৭০ জন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ৩৫ জন সিনিয়র পদ ছেড়েছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ৫০ জন, জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের ১৯ জন সিনিয়র চিকিৎসক ইস্তফা দিয়েছেন। সাগর দত্ত মেডিক্যালে গণ ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ৩০ জন চিকিৎসক। একই ইঙ্গিত মিলেছে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে।