খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি বিএনপি নেতা, করলেন রিজভীর কাছে অভিযোগ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার এক মামলায় মো. ইসহাক মিয়া নামে বিএনপির এক নেতাকে আসামি করা হয়েছে। গত ৮ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরা-পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন যুবদলের সাব্কে নেতা এস এম জাহাঙ্গীর। বিষয়টি সুরাহার জন্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিঝীর কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ইসহাক মিয়া।
ভুক্তভোগী ইসহাক মিয়া বর্তমানে ঢাকা মহানগর উত্তরের ৫২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি। খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার মামলায় তিনি ৭৯ নম্বর আসামি।
রুহুল কবির রিজভীকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে ইসহাক মিয়া লিখেছেন, তিনি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে তুরাগের হরিরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির বিভিন্ন পদে ছিলেন। একই সঙ্গে গত ১৮ বছরে তুরাগ থানায় সাতটি এবং উত্তরার দুই থানায় আটটি রাজনৈতিক মামলায় তিনি আসামি। একটি মামলায় তাকে ৩০ মাসের সাজাও দেওয়া হয়েছে। অথচ এখন তাকে অনুপ্রবেশকারী সাজানো হচ্ছে।
এদিকে এস এম জাহাঙ্গীর মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় উত্তরা যান। সেদিন উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এজাহারের শেষ লাইনে বলা হয়, হামলার ঘটনাটি সেদিন (১৯ এপ্রিল ২০১৫) প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারও করা হয়।
তবে সেই দিনের বা পরের দিনের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় উত্তরায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র খালেদা জিয়াকে কালো পতাকা দেখানোর খবর পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ইসহাক মিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমি এর সুরাহা চেয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানার জন্য সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে এস এম জাহাঙ্গীরকে কয়েক দফা কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।