৬৫ দিন পর মারা গেলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ বিএনপিকর্মী জীবন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অদূরে গুলিবিদ্ধ বিএনপিকর্মী মো. রমজান মিয়া জীবন (২৬) মারা গেছেন। ৬৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় তার।
নিহত জীবনের বাবা জামাল মিয়া বলেন, তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের পাঠান হাটি গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে মিরপুরের লালমাটি এলাকায় থাকেন ও নর্দা এলাকায় একটি বাসার নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তার ছেলে জীবন পুরান ঢাকার আলুবাজার এলাকায় একটি জুতার কারখানায় কাজ করতেন। জীবনের স্ত্রী সাহারা খাতুন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
নিহতের বাবা আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে জীবনের মাথায় গুলি লাগে। পরে রিকশা দিয়ে তাকে (জীবন) ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
নিহতের চাচা মো. রোমান বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট রাস্তায় সংঘর্ষের সংবাদ শুনে জীবনের মোবাইলে ফোন করে তার মা আমেনা খাতুন বলেন, ‘‘তুই কোথায় আছিস?’’ মোবাইল ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ছেলের কথা আর শুনতে পাননি মা। সেখানে আরেকজন ফোন রিসিভ করে বলেন, ‘‘আপনি যাকে ফোন করেছেন, সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। সে আহত হয়েছে।’’ আমরা ওই সংবাদ শুনে ঢামেক হাসপাতালে এসে বিকেলের দিকে তাকে শতাধিক আহতদের মাঝে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুঁজে পাই।’
তিনি বলেন, ‘জীবনের মাথায় গুরুতর জখম ছিল। এরপর আর তার জ্ঞান ফেরেনি। জীবন বাসার কথা বলে মাঝেমধ্যে কারখানা থেকে বের হতো ঠিকই, কিন্তু বাসায় না গিয়ে গোপনে বিএনপির প্রোগ্রামে যেত। দেশকে ভালোবাসাই তার কাল হলো। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।