আমরা খুব স্বস্তি অনুভব করছি: স্কয়ারের সিইও তপন চৌধুরী
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ব্যবসায়ী হিসেবে স্বস্তি অনুভব করছেন বলে জানালেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্কয়ার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তপন চৌধুরী। আজ বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশের শিল্পখাতের ভবিষ্যৎ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
‘তপন চৌধুরী কনভারসেশন উইথ ইআরএফ মেম্বারস’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ্ মৃধা, সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
তপন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আসলেই খুব কমফোর্ট (স্বস্তি) ফিল (অনুভব) করছি। একটা বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। সরকারের অফিসগুলোতেও আমরা বড় ধরনের একটা পরিবর্তন লক্ষ করছি। আগে যেখানে কথাই বলা যেত না, প্রশ্নই করা যেত না। এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানও খুব পজিটিভ (ইতিবাচক)। স্টেকহোল্ডারদের (অংশীদারদের) সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছেন। একই অবস্থা বাণিজ্য মন্ত্রনালয়েও। আমরা আশাবাদী।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তৈরি পোশাকখাত চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে জানিয়ে স্কয়ার গ্রুপের সিইও বলেন, ‘দেশে তৈরি পোশাকখাতে এখন অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। যা বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থার কারণে অনেক বিদেশি ক্রেতা চলে যাচ্ছেন। পোশাকখাত অস্থিতিশীল করার পেছনে অনেক ক্ষেত্রে দেশের বাইরের ইন্ধন থাকে, কিন্তু আমরা দেখতে পাই দেশে কিছু হলেই রাজনৈতিকভাবে পোশাকখাতকে ব্যবহার করা হয়। এর ফলে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশের স্বার্থে এ অবস্থা থেকে বের হতে হবে। কারণ, এখানে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক সরাসরি কাজ করছে। যাদের বেশিরভাগ নারী। বাংলাদেশে পোশাকখাতের সফলতার পেছনেও নারী শ্রমিকদের ব্যাপক অবদান।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এক প্রশ্নের জবাবে তপন চৌধুরী বলেন, ‘দেশের তৈরি পোশাকখাতে অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে এখন বেশ কিছু ক্রেতা শ্রীলংকায় চলে যাচ্ছেন। যারা আগে শ্রীলংকাতেই ছিল। তাদের (শ্রীলঙ্কা) অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে আমাদের দেশে ওইসব ক্রেতারা এসেছিল। এখন আমাদের অবস্থা অস্থিতিশীল হওয়ায় তারা আবারও ওখানে (শ্রীলংকা) চলে যাচ্ছেন। তবে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। আশা করছি খুব শিগগিরই স্থিতিশীল হবে সবকিছু।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি না থাকার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিশিষ্ট এ ব্যবসায়ী ও সাবেক তত্ত্বাবধায় সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি থাকার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ, ব্যবসায়ী থাকলে কেউ বলবে টেক্সটাইলে একটু সুবিধা দরকার, ওষুধ শিল্পে একটু সুবিধা দরকার। এখন যারা আছেন তারা কেউই ব্যবসায়ী নন, তাতে করে একটা সুবিধা হচ্ছে সব খাতকেই তারা সমানভাবে দেখছেন। এটা পজিটিভ।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তপন চৌধুরী বলেন, ‘দেশ চালাবেন মূলত রাজনৈতিক দলগুলো। এরা অল্প সময়ের জন্য আছেন, তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা দ্রুত একটা নির্বাচনী রূপরেখা দেশবাসীকে জানাবেন।’