বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী /
১৭ মার্চের ছুটি বাতিলের উদ্যোগ
সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের ছুটি বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। এদিন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বা বিশ্ব শিশু দিবস পালন হলেও ‘জাতীয় শিশু দিবস’ ছিল না।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অর্থাৎ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে ১৭ মার্চের ছুটি বাতিলের সারসংক্ষেপ পাঠানো হচ্ছে। অর্থাৎ ১৭ মার্চ আর সরকারি ছুটি থাকছে না।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয় ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ ঘোষণা করে ওই সময়ের মন্ত্রিসভা। ১৯৯৭ সাল থেকেই দিবসটি পালন শুরু হয়। পরে এ দিনটিকে সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে ব্যাপক ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের বিষয়টি উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।
এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। বিএনপি-জামায়াত ছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, সিপিবি, বাসদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, এবি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও গণ অধিকার পরিষদের দুই অংশের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।