অভিনেত্রী চমকের আহ্বান

বিনোদন প্রতিবেদক
০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৫৮
শেয়ার :
অভিনেত্রী চমকের আহ্বান

ছাত্র-জনতার যৌক্তিক আন্দোলনে শুরু থেকেই সরব ছিলেন অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। ফেসবুকে লেখালেখির পাশাপাশি ছিলেন রাজপথেও। শুধু তাই নয়, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরও কথা বলে গেছেন চলমান নানা ইস্যু নিয়ে। হাত লাগিয়েছিলেন বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনেও। ফেনীর ভয়াবহ বন্যায় ত্রাণ নিয়ে ছুটে গেছেন বন্যার্তদের পাশে। সেই চমক এবার আহ্বান জানালেন ধর্ম-শান্তি বজায় রাখার।

সম্প্রতি একটি ছবির জন্য সামাজিক মাধ্যমে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়েছেন চমক। আর এ নিয়ে নিজের মতও প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে। সঙ্গে শেয়ার করেছেন নাটকের দুটি ছবিও (যা নিয়ে আলোচনা)।  

চমকের কথার শুরুটা ছিল এমন- ‘পূজার বিশেষ নাটক “আনন্দধাম”। পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী l প্রায় দুবছর আগে শুটিং করেছিলাম l হিন্দু নারী চরিত্রে অভিনয় করি এই নাটকটিতেl এরকম আরও কিছু নাটকে আমি হিন্দু চরিত্রের গল্প পাই। শুধু আমি না, এর আগে আমাদের দেশের অনেক স্বনামধন্য অভিনেতা-অভিনেত্রী অন্য ধর্মের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এপার ও ওপার বাংলায়। তাদের প্রত্যেকেরই চরিত্রায়ণ ও অভিনয়শৈলী অসাধারণ। তাদের সেই সকল কাজ আমাদের দেশের মানুষ ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘অবাক হলাম, গতকাল যখন আমি আমার একটা দুর্গা চরিত্রের ছবি শেয়ার করি, সেটাতে মানুষের রিয়েকশন দেখে। আমরা জাতি হিসেবে কবে এতটা ধর্মান্ধ হয়ে গেলাম যে, শিল্প ও শিল্পীর মধ্যে ধর্ম নিয়ে কাটাকুটি করছি। শেকস্পিয়র থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিশ্বের বিবিধ কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী অনেকেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বী। তবে কি আমরা তাদেরও বর্জন করব। এই দেশের মানুষ কি সাহিত্যচর্চা করবে না!’

পূজায় কি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন উৎসব করবে না প্রশ্ন রেখে চমক বলেন, ‘ঈদে যেমন আমরা প্রাণ খুলে আনন্দ করি, পূজায় কি তারা তেমন উৎসব করতে পারবে না? বাংলাদেশ স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ, যে দেশে অনেক ধর্ম পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে, এটাই কাম্য। কোনো ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মকে ছোট করবে না, নির্যাতন করবে না। ধর্ম মানুষকে শান্তি বজায় রাখতে শেখায়। সংখালঘুদের ওপর জোরজবরদস্তি সহিংসতা শেখায় না। আর সর্বোপরি শিল্প, সাহিত্য আর শিল্পী সবসময় ধর্ম, জাতি ও দেশের দাগের বাইরে থাকা উচিত। এজন্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বকবি বলা হয়, সারাবিশ্বের সকল ধর্মের মানুষ তার কবিতা আর গানে একইভাবে আলোড়িত হন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহনশীলতা ও সৎবুদ্ধি দান করুক।’