গুম কমিশনে অভিযোগ দেওয়ার মেয়াদ ফের বাড়ল

অনলাইন ডেস্ক
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:২১
শেয়ার :
গুম কমিশনে অভিযোগ দেওয়ার মেয়াদ ফের বাড়ল

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকয়ারিতে অভিযোগ দায়েরের সময়সীমা ১৬ দিন বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে, আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকয়ারিতে অভিযোগ জানানো যাবে। এর আগে এক দফা বাড়িয়ে এ সময়সীমা চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত করা হয়ে ছিল।

গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকয়ারির জনসংযোগ কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন আজ মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জোরপূর্বক গুমের ঘটনার ভুক্তভোগী নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়-স্বজন বা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বা কোনো ব্যক্তি সশরীরে কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অথবা ডাকযোগে অথবা কমিশনের ইমেইলে অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন।

নাছির উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযোগ দাখিল করা যাবে। তবে এই সময়সূচি অনুযায়ী অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে হটলাইনের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। হটলাইন নম্বর: ০১৭০১৬৬২১২০, ০২-৫৮৮১২১২১। ই-মেইল: edcommission.bd@gmail.com

এর আগে গত ২৭ আগস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিশনের দায়িত্বে পরিবর্তন আনা হয়। একই সঙ্গে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়।

এ কমিশনের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

তদন্ত কমিশন ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা এবং অনুরূপ যে কোনো বাহিনী বা সংস্থার কোনো সদস্য বা সরকারের মদদে, সহায়তায় বা সম্মতিতে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি-সমষ্টির আয়না ঘর বা যে কোনো জ্ঞাত বা অজ্ঞাত স্থানে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করা এবং কোনো পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করা এবং সেই উদ্দেশ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যসহ যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। কমিশন বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে জানাবে।

গুম হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করা করবে কমিশন। বলপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশও দেবে এ কমিশন। এ ছাড়া বলপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে তদন্ত কমিশন। তদন্ত কমিশন বাংলাদেশের যে কোনো স্থান পরিদর্শন এবং যে কোনো ব্যক্তিকে কমিশনে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা দেবে।