ট্রান্সফরমার চোর অভিযোগে গণপিটুনি দিয়ে যুবককে হত্যা
রাজবাড়ীর কালুখালীতে ট্রান্সফরমার চোর অভিযোগে নাজমুল মোল্যা (৩৫) নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নাজমুল ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার পূর্ব গাড়াখোলা গ্রামের মৃত আহম্মেদ মোল্লার ছেলে।
আজ শনিবার ভোরে কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে জামাতার বাড়িতে কয়েকদিন আগে নাজমুল মোল্যা বেড়াতে আসেন। গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় আনোয়ার মুন্সির বাড়ির মোটর চুরি হয়। এর আগের বৃহস্পতিবার রাতে অপর এক ব্যক্তির বাড়ির সামনের ট্রান্সফরমার চুরি হয়। যে ট্রান্সফরমারটি শনিবার ভোর ৪ টার দিকে নাজমুল মোল্যাসহ অপর দুজন বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ট্রান্সফরমার নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। তারা ধাওয়া দিয়ে নাজমুলকে আটক করতে পারলেও অপর দুজন চোর পালিয়ে যান। এ সময় নাজমুলকে গণপিটুনি দেয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে শনিবার সকাল ৯টার দিকে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুলের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী আন্না বেগম বলেন, দুই দিন আগে তার স্বামী কালুখালীর মাধবপুর গ্রামে বেড়াতে আসেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের নেতা সাজেদুল দড়ি, ছালাম দড়ি, সাঈদ মোল্লা, মেহের আলী, দুদু আহন, হারুন ব্যাপারী, রহমান বিশ্বাস, রনজু দড়ি, ছালু সরদার, জুলু সরদারসহ ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আজ শনিবার সকালে তারা আমার স্বামীকে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ফেলে পালিয়ে যান। নার্সরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে তিনি মারা যান।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, নাজমুল মোল্যার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় চুরি ও ডাকাতির প্রস্তুতির ১১টি মামলা রয়েছে। নাজমুল একজন পেশাদার চোর। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।