‘র’ এজেন্ট স্লোগানে বিজিবি সদস্যকে হত্যায় আন্দোলনকারীদের নামে মামলা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:১০
শেয়ার :
‘র’ এজেন্ট স্লোগানে বিজিবি সদস্যকে হত্যায় আন্দোলনকারীদের নামে মামলা

বিজিবির ওপর হামলা, বিজিবির নায়েক মো. আবদুল আলীমকে (নম্বর ৬১৪১) হত্যা ও ১১টি গাড়ি ভাঙচুর এবং পুড়িয়ে প্রায় ৪ কোটি ১২১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ক্ষতি করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এতে কয়েক হাজার অজ্ঞাত আন্দোলনকারীকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিজিবি ময়মনসিংহ সদর দপ্তরের নায়েব সুবেদার সোহেল রানা বাদী হয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় এ মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগষ্ট ময়মনসিংহের ৩৯ বিজিবি থেকে কনভয় আকারে গাজীপুরের শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য রওনা দেয় বিজিবি। কনভয়টি পথিমধ্যে একাধিক স্থানে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে বিজিবির কনভয়টি সকাল সাড়ে ১০টায় মাওনা চৌরাস্তার পল্লিবিদ্যুত মোড়ে পৌঁছালে আন্দোলনকারীরা ‘র’ -এর এজেন্ট, বিএসএফ বলে চিৎকার করে বিজিবির গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় বিজিবি কঠিন বাধার মুখে পড়ে। আন্দোলনকারীরা বিজিবির অস্ত্র বস্তায় ভরে রাখে। পরে বিজিবির বহন করা গাড়িতে হামলা চালায়। এগারোটি গাড়ি ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয়। বেলা ৩টার দিকে গাজীপুর থেকে ৬৩ বিজিবির দুটি এপিসি উদ্ধার করতে এসে বাধার মুখে পড়ে। বিকেল ৪টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে সেনাবাহিনী ও বিজিবির দল দুজন ম্যাজিস্টেট নিয়ে এসেও উদ্ধার করতে পারেনি আটকদের। বিকেল ৫টার দিকে বিজিবির সদরদপ্তর থেকে হেলিকপ্টার এসেও তাদের উদ্ধার করতে ব্যার্থ হয়।

বিজিবি আত্মরক্ষা করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা বিজিবির সদস্যদের প্রায় ৬ কিলোমিটার ধাওয়া করে নিয়ে যায়। বিজিবির ৫ জন সদস্য মাষ্টারবাড়ির একটি মসজিদে ঢুকে প্রাণ রক্ষা করেন। আন্দোলনকারীদের হামলায় ঘটনাস্থলে নায়েক মো. আবদুল আলীম মারা যান। ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া গাড়ির মধ্যে রয়েছে ১টি জিপ, ৬টি পিকআপ, ৩টি ট্রাক, ১টি ম্যাজিস্টেটের পিকআপ ও ২টি পাবলিক বাস। আন্দোলনকারীদের হামলা ভাঙচুরে প্রায় ৪ কেটি ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিজিবির করা অভিযোগটি এফআইআরভূক্ত হয়েছে।