ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করেছে জার্মানি
জার্মানি ইসরায়েলে নতুন করে যুদ্ধাস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইসরায়েলে যুদ্ধাস্ত্র রপ্তানি করে জার্মানি মানাবাধিকার লঙ্ঘন করছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা রপ্তানি স্থগিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য বিশ্লেষণ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা এক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানায়, জার্মানি ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির লাইসেন্স অনুমোদন করা বন্ধ করেছে, কারণ, এক্ষেত্রে আইনি ও রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। এমন রপ্তানির মাধ্যমে জার্মানি মানবাধিকার আইন ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো উত্তর দেয়নি। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদন প্রকাশের পর জার্মান সরকার একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সরকারের স্টেফান হেবেশ্ট্রাইট বলেন, ‘ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বিষয়ে জার্মানিতে কোনো বয়কট নেই।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, গত বছর ইসরায়েলে ৩২ কোটি ৬৫ লাখ ইউরোর অস্ত্র রপ্তানি অনুমোদন করেছিল জার্মানি। এর মধ্যে সামরিক উপকরণ ও যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে। অর্থের অংকটি ২০২২ সালের তুলনায় প্রায় ১০ গুন বেশি।
তবে এ বছর লাইসেন্স অনুমোদন কমেছে। জানুয়ারি থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ১ কোটি ৪৫ লাখ ইউরো মূল্যের অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে যুদ্ধাস্ত্র বলে বিবেচিত অস্ত্র ছিল ৩২ হাজার ৪৪৯ ইউরোর।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরায়েলে যুদ্ধাস্ত্র রপ্তানি বিষয়ে জার্মানির বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে। অন্যটি বার্লিনের আদালতে। মামলাটি করেছে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস। দুই মামলায় নিজের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে গিয়ে জার্মান সরকার বলেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর ইস্যু করা কোনো লাইসেন্সের আওতায় যুদ্ধাস্ত্র রপ্তানি করা হয়নি। শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদি যে চুক্তিগুলো আছে তার আওতায় যন্ত্রাংশ রপ্তানি করা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। ইউরোপজুড়ে মামলা হওয়ায় ইসরায়েলের অন্যান্য মিত্ররাও অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
চলতি মাসে ব্রিটেন ইসরায়েল অস্ত্র রপ্তানি সংক্রান্ত ৩৫০টি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি স্থগিত করেছে। কারণ ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে নেদারল্যান্ডসের একটি আদালত ইসরায়েলে এফ-৩৫ ফাইটার জেটের যন্ত্রাংশ রপ্তানি স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিল।