ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি বন্ধে ডিএমপিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:০৪
শেয়ার :
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি বন্ধে ডিএমপিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনা

পুলিশ সদস্যদের উজ্জীবিত করার পাশাপাশি রাজধানীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি বন্ধে ডিএমপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশকে মানবিক পুলিশ হতে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরানো গৌরব ফিরিয়ে নেওয়া যায় এবং জনবান্ধব পুলিশে পরিণত করা যায়- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি কার্যালয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে যে সমস্যা হচ্ছে, তার উন্নতি কীভাবে করা যায় সে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া চাঁদাবাজি, ঘুষ ও দুর্নীতি কীভাবে বন্ধ করা যায়, সে বিষয়েও আলাপ হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধ হলে জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।’

রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে, বাদী আসামিদের চেনে না। হয়রানির এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ কিন্তু আগে মামলা দিত, এই সময়ে কোনো পুলিশ মামলা দিয়েছে? আগে পুলিশ ১০ জনের নাম দিয়ে ১০০ জনকে অজ্ঞাত রেখে দিত। কিন্তু এখন পুলিশ মামলা দিচ্ছে না, সাধারণ জনগণ দিচ্ছে। পুলিশ যদি এমন একটা মামলাও দেয়, আপনারা আমাকে জানাবেন।’

তিনি বলেন, ‘কাল আমার কাছে একজন এসেছিলেন, ‘তিনি বলেন- স্যার মামলার যে অরিজিনাল আসামি তাকে ১১ নম্বরে রাখা হয়েছে। আমি বললাম, কেন? তাকে তো এক নম্বরে দিবেন। তিনি বলেন- না, যারা এইটা ড্রাফট করছে, তারাই দিয়েছে।’

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মব জাস্টিসের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কাল দেখলাম জাহাঙ্গীরনগরে এমন ঘটনা ঘটেছে। তারা তো সবচেয়ে শিক্ষিত, তাদের ক্ষেত্রে এই সচেতনতা আগে আসতে হবে। ইনোসেন্ট লোক যেন কোনো অবস্থায় হেনস্থার শিকার না হয়। একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।’