২২ দিন পর ইউপি চেয়ারম্যান আদো মং মারমাকে জীবিত উদ্ধার
অবশেষে নিখোঁজের ২২ দিন পর রাঙ্গামাটির কাপ্তাই সেনা জোনের বিশেষ অভিযান চালিয়ে বাংগালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদো মং মারমাকে (৫০) উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে তাকে রাজস্থলীর গাইন্ধ্যা ইউনিয়নের লংগদুপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অপহৃত চেয়ারম্যানের পরিবারের দাবি, গত ২৫ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা নিখোঁজ হন। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৯ টায় তার নিজ বাড়ি থেকে বাংগালহালিয়া ইউপি সদস্যদের সম্মানী উত্তোলনের জন্য রাজস্থলী উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংগঠন সশস্ত্র গ্রুপ তাকে অপহরণ করে।
এদিকে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন নিখোঁজ হওয়ার পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ায় এবং সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফেরায় তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পরিবার সেনাবাহিনী ক্যাম্পে অবগত করেন।
এর আগে তার নিখোঁজের বিষয়ে পরিবার থেকে কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়।
আদোমং চেয়ারম্যান নিখোঁজ হওয়ার পরবর্তী সময়ে গত ২৬ আগস্ট থেকে অপহরণকারী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার থেকে চেয়ারম্যানের স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে ফোনে মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল।
পরবর্তী সময়ে তার পরিবার এ বিষয়টি স্থানীয় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে জানান। অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তাদের আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান চালায়। এ সময় অপহরণকারীরা বিভিন্ন সময় অপহৃত ব্যক্তিকে দুর্গম বিভিন্ন পাহাড়ে স্থানান্তর করতে থাকে।
গতকাল ১৭ই সেপ্টেম্বর বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাপ্তাই সেনা জোনের একটি দল গাইন্ধ্যা ইউনিয়নের লংগদুপাড়া এলাকা গোপনে অবস্থান নেয়।
এ সময় সেনাবাহিনীর অবস্থান জানতে পেরে সশস্ত্র দলটি অপহৃত আদো মং চেয়ারম্যানকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। সেই স্থান থেকেই চেয়ারম্যান আদোমং মারমাকে সেনা টহলের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়।