ভারতের কয়লা গুহায় বাংলাদেশি নিহত
ভারতের কয়লা গুহায় মাটিচাপা পড়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের আবুল মিয়া (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০-১৫ জন। আজ রবিবার সকালে উপজেলা কলাগাঁও সীমান্ত এলাকায় (ভারতের অংশ) এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও ওই যুবকের কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা ‘বলা যাবে না’ জানিয়েছেন তিনি।
আবুল মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও পশ্চিম পাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আলকাছ মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, আজ ভোর থেকে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি ও কলাগাঁও এলাকা দিয়ে পৃথকভাবে ভারত থেকে অবৈধভাবে অবাধে কয়লা, চিনি, পেঁয়াজ, সুপারি, মাদকদ্রব্য ও নদী থেকে বালি পাচার শুরু হয়। সকাল ৯টায় কলাগাঁও এলাকার ভারতের অংশ থেকে বাংলাদেশে কয়লা পাচারের সময় চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়েন আবুল মিয়া। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ওই সময় গুহার ভিতর আটকে পড়েন আরও ২০-৩০ জন শ্রমিক। খবর পেয়ে অন্য শ্রমিকরা প্রায় ২ ঘণ্টা মাটি খুঁড়ে তাদের উদ্ধার করে। মৃত যুবকের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি জানতে সীমান্তের চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের সরকারি মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন দেওয়া হলে কেউ সাড়া দেননি।
ওসি মাইনুদ্দিন বলেন, ‘চারাগাঁও সীমান্তে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাবে না। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে। সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা প্রতিদিন কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবাধে কয়লা, মাদক, চিনি, পেয়াজ, সুপারি, ভারতীয় বিভিন্ন ব্যন্ডের মদ ও নদী থেকে বালি পাচার করছে কমলাকান্দাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এর ফলে গডফাদার ও তার সোর্সরা হচ্ছে কোটি কোটি টাকার মালিক, অন্যদিকে এসব মালামাল পরিবহনে সীমান্তে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল।