গুমের শিকার ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ আজ থেকে শুরু

অনলাইন ডেস্ক
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:১২
শেয়ার :
গুমের শিকার ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ আজ থেকে শুরু

২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার (পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সিআইডি, বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ড) কোনো সদস্য দ্বারা গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে সরকার গঠিত কমিশন অফ ইনকোয়ারি আজ রবিবার থেকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।

 আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিশনের কাছে অভিযোগ দাখিল করা যাবে।

এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ১৫ দিনে প্রতি কর্মদিবসে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করা যাবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা সশরীরে কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অথবা ডাকযোগে কিংবা কমিশনের ই-মেইলেও লিখিতভাবে গুমের অভিযোগের তথ্য জানাতে পারবেন বলে জানানো হয়।

তবে, অভিযোগ দাখিলের জন্য হটলাইনের মাধ্যমে আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কার্যালয়ের ঠিকানা, ইমেইল ও হটলাইন নাম্বার দিয়ে দেওয়া হয়।

কমিশনের কার্যালয়ের ঠিকানা- ৯৬, গুলশান অ্যাভিনিউ, ঢাকা। এছাড়া ই-মেইল যোগাযোগ করা যাবে এই ঠিকানায় - edcommission.bd@gmail.com।

হটলাইন নম্বর- ০১৭০১৬৬২১২০ এবং ০২–৫৮৮১২১২১।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা জানতে চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে তদন্ত কমিশন।

প্রতিটি অভিযোগনামায় অন্যান্য তথ্যসহ গুমের ঘটনার সুনির্দিষ্ট বিবরণ, ঘটনার স্থান, তারিখ ও সময়, অভিযোগকারী ও তার বাবা–মায়ের নাম, ভুক্তভোগীর নাম ও তার বাবা–মায়ের নাম, ভুক্তভোগীর সঙ্গে অভিযোগকারীর সম্পর্ক, অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীর ডাক-ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল ও অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা সংস্থার নাম-ঠিকানা ইত্যাদি অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অভিযোগনামায় বর্ণিত গুমের ঘটনার সমর্থনে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণাদি, সাক্ষীদের নাম-ঠিকানার তালিকাসহ অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে) দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ কমিশন পরে প্রয়োজনবোধে অভিযোগ দাখিলকারী ও অভিযুক্ত ব্যক্তি বা তার প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে যোগাযোগ করে এই কমিশন প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও সহায়তা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।