বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে আছে: আমির খসরু
বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা সংকটের মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঔষধ শিল্পের বিরাজমান অবস্থা এবং কিছু কিছু শিল্পে অস্থিরতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মোক্তাদিরের নেতৃত্বে বৈঠকে সাধারণ সম্পাদক এসএম শফি উজ্জাজামান, সহসভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ হেলালুজ্জামান, মেজর জেনারেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান, হারুন অর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বৈঠকের পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের ওপরে আমাদের অনেক নির্ভরশীলতা। এই শিল্পকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। অনেক উন্নয়নশীল দেশকে ঔষধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে ঔষধ শিল্পের যে বিকাশ ঘটেছে আমাদের ৯৮ শতাংশ মানুষ এই শিল্পের ঔষধ পায়। মাত্র দুই শতাংশ আমরা আমদানি করি।’
আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা এই শিল্প নিয়ে গর্বিত। এই শিল্পে বিনিয়োগ আগামীতে আরও বাড়তে থাকবে, আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, সার্বিক অর্থনীতিতে জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের অবদান রাখবে। ইদানীং কিছু কিছু ঔষধ শিল্পের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। যেটার সমাধানও হয়ে গেছে। আমরা আশা করব, আগামীতে শিল্পের মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়, কোনো ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা সংকটের মধ্যে আছে এটা।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে বিশেষ করে আমাদের বিকাশমান ঔষধ শিল্পকে সবার সমর্থন দিতে হবে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বক্তব্য যে, এই শিল্পের বিকাশ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এখানে যারা আমরা সম্পৃক্ত মালিক-শ্রমিক যত স্টেকহোল্ডার আছে সকলের একত্রিত প্রচেষ্টায় আমরা এগিয়ে যাবো। আমরা মনে করি, আগামী দিনে ঔষধ শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের সমন্বয়ে শক্তিশালী হবে।’