ড. ইউনূসের বক্তৃতা আমাকে অনেক বেশি আশ্বস্ত করেছে: ফারুকী

বিনোদন প্রতিবেদক
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫১
শেয়ার :
ড. ইউনূসের বক্তৃতা আমাকে অনেক বেশি আশ্বস্ত করেছে: ফারুকী

বরেণ্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার কথায় উঠে আসে সমসাময়িক নানা বিষয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে সরব ছিলেন ফারুকী। কথা বলেছেন ছাত্র-জনতার পক্ষে। শুধু তাই না, স্বৈরাচারী সরকারের (শেখ হাসিনা) পতনের পর দেশের চলমান অবস্থা এবং তা থেকে উত্তরণের বিষয় নিয়েও কথা বলছেন তিনি।

এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গতকালই একটি পোস্ট করেছেন ফারুকী। তার পোস্টে উঠে এসেছে নতুন এক বাংলাদেশে গড়ার কথা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস সবার প্রতিনিধিত্ব করছেন স্মরণ করিয়ে ফারুকী লিখেছেন, ‘প্রফেসর ইউনুসের আজকের বক্তৃতা আমাকে অনেক বেশি আশ্বস্ত করেছে। তার কথার মধ্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল ইনক্লুসিভনেসের। আজকে তাকে মনে হয় নাই উনি কেবল একটা গোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এটা এই মুহূর্তে আমার বিবেচনায় সিগনিফিক্যান্ট কারণ আমি গত কিছুদিন অনুভব করছিলাম মানুষের একতার স্পিরিটটা একটু আলগা হয়ে আসছে।’

নির্মাতা আরও বলেন, ‘যেদিন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে ছাত্রদের বের করে দিয়েছিল হাসিনা, সেদিন থেকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, বিএনপি, বাম দল, জামাতসহ সব রাজনৈতিক দল, শ্রমিক, গৃহিণী, অভিভাবকসহ সবাই যে স্পিরিট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো সেই স্পিরিটই ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন ঘটায়। এই স্পিরিটটা আমি বন্যা পর্যন্ত দেখেছি। সবাই তখন দেশটা ওউন করছিল। কিন্তু এরপরেই ঘটে সাময়িক ছন্দপতন। কেমন সবাই হিজ হিজ হুজ হুজ হতে শুরু করল।’

বিভাজনের খেলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে ফারুকী লিখেছেন, ‘আমরা এখন নতুন সমাজ বানাতে চাই। ফলে আমাদের খোলাখুলি বলা উচিত এই ছন্দপতন শুরু হয় আন্দোলনের কৃতিত্ব এবং মাস্টারমাইন্ড বিষয়ক বিতর্কে। সময় এসেছে এই আত্মঘাতী কাজ থেকে বিরত থাকা। এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড আওয়ামী লীগ বাদে সবাই। বিভাজনের খেলা বন্ধ করি চলেন। মনে রাখবেন, বিপ্লব সফল হয় অন্তর্ভুক্তিতে। বিপ্লব ঝুঁকিতে পড়ে বিভক্তিতে।’

সবশেষ নির্মাতা লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগ বাদে যারা আছেন তারা একে অন্যকে আক্রমণ না করে, নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে জনতার কাছে যান। জনতা যাদের ভোট দিবে তারা সরকার গঠন করবেন। যারা ভোট কম পাবেন তাদেরও ভূমিকা থাকা উচিত নতুন সহনশীল বাংলাদেশ নির্মাণে। এই মুহূর্তে আক্রমণ, আক্রমণ খেলা সবাই বন্ধ করা জরুরি। যারা রাজনৈতিক দলে আছেন অলরেডি এবং যারা দল করবেন- দুই পক্ষেরই। এবং সবাই সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং প্রশাসনকে সাহায্য করেন।’