মণিপুরের তিন জেলায় কারফিউ জারি
দেশটির এই রাজ্যের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রথমবারের মতো রকেট ও ড্রোন হামলারও ঘটনা ঘটেছে। এই গোষ্ঠীগুলো অনেকদিন ধরেই স্বাধীনতার দাবি জানিয়ে আসছিল। গত বছর থেকে স্থানীয় মেইতে ও কুকি চিন নামের দুই জনগোষ্ঠীর সংঘাতের জেরে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে মণিপুর। এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর লন্ডন থেকে মণিপুরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা।
সর্বশেষ গত সোমবার মণিপুরের জিরিবাম জেলাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় নতুন করে জাতিগত সহিংসতা শুরু হয়। এই অবস্থায় মণিপুরের রাজধানী ইমফলের দুই জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য আজ মঙ্গলবার কারফিউ ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
গত কয়েকদিনে দফায় দফায় গুলি বিনিময়, বোমা বিস্ফোরণ, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা, বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু, মণিপুর রাইফেলসের দু’টি ব্যাটেলিয়নের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্রশস্ত্র লুটের চেষ্টা-সহ একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
কারফিউ চলাকালীন বাসিন্দাদের তাদের বাসস্থানের বাইরে চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০ সেপ্টেম্বর ভোর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু জরুরি পরিষেবার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী, বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পরিষেবার কর্মী, প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, এবং আদালতের কর্মচারীরা অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস