বুলেটবিদ্ধের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলেনি হাসিবের

রায়পুরা প্রতিনিধি
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৫০
শেয়ার :
বুলেটবিদ্ধের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলেনি হাসিবের

গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন সারাদেশে যখন টালমাটাল ঠিক ওইদিন বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুইটি বুলেটেবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মো. হাসিব মিয়া। এ ঘটনার ১ মাস ১৯ দিন পার হতে চলল, তবুও বুলেটবিদ্ধের সেই যন্ত্রণা থেকে আজও মুক্তি মেলেনি হাসিবে। মৃত্যু যন্ত্রণায় বিছানায় শুয়ে দিন কাটছে হাসিব মিয়ার।

মো. হাসিব মিয়া নরসিংদীর শিবপুর সরকারি আসাদ কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি রায়পুরা উপজেলার ডৌকার চর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মৃত মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে।

হাসিব বলেন, ‘গত ২০ জুলাই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর ভেলানগরে সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে যোগ দিই। হঠাৎ দুইটি বুলেট আমার শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। পরে আশেপাশে দেখতে পাই সেখানে অনেকেই আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে। এমতাবস্থায় সহপাঠীরা আমাকে ভর্তি করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে। সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা পাঠিয়ে দেয় ঢাকায়। ’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের মুখে অনেক হাসপাতালে আমাকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করলেও শেষে ঠাঁই হয় ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে। একটু গোপনে হলেও ওই হাসপাতালে আমার চিকিৎসা শুরু হয়। প্রথমে ডাক্তাররা ফুসফুসের অপারেশন করলেও দুইটি মেজর অপারেশন থাকায় কিডনির অপারেশন আর করেনি। এরপর ডাক্তার জানান- ফুস ফুস এবং হাড় সম্পূর্ণ সেরে গেলে পরবর্তীকালে কিডনির অপারেশন করাবেন। এরপর ওই হাসাপাতালে ২৫ দিন সেবা নিয়ে বাড়িতে চলে আসি। ’

হাসিবের বড় ভাই হাবিবুর বলেন, ‘হাসিবের চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ তার পরিবারের পক্ষে এ খরচ বহন করা কষ্ট হয়েছে। আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে এনে এত টাকা শোধ করতে হয়েছে। তাই হাসিবের কিডনির অপারেশনের জন্য সরকারিভাবে সহযোগীতা কামনা করছি।’

এদিকে আহত হাসিবের অসুস্থতার কথা শুনে গত শনিবার বিকেলে তার বাড়িতে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফ উদ্দিন বকুল। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে হাসিবকে উপহার প্রদান করে বলেন, ‘হাসিবের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে। ’

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ঈদ্রিস আলী মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ, উপজেলা বিএনপির এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা।