আমরা কাউকে ক্ষমা করিনি: মাসুদ সাঈদী

নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৬
শেয়ার :
আমরা কাউকে ক্ষমা করিনি: মাসুদ সাঈদী

জালিমের প্রতি দয়া দেখানো মানে সকল শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা বলে মন্তব্য করেছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী। আজ শুক্রবার নাজিরপুর উপজেলার শাঁখারীকাঠি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মো. আনিসুর রাহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে উপজেলা অর্থ সম্পাদক আবু দাউদ সমাবেশের সঞ্চালনা করেন।

মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ১৭টি বছর অত্যাচার, জুলুম, স্ট্রিম রোলার চালিয়েছিল এ আওয়ামীলীগ। আমরা এ প্রত্যেকটি জুলুম ও হত্যার বিচার চাই। আমরা কাউকে ক্ষমা করিনি। তবে যারা পরিবেশ পরিস্থতির কারণে ব্যক্তিগত সম্পদ রক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকরি বাঁচানোর কারণে আওয়ামীলীগের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলেছেন তাদের সাধারণ ক্ষমা। কিন্তু যারা ফাঁসির দড়ি নিয়ে মিছিল করেছেন তাদের ক্ষমা নাই।’

তিনি আরও বলেন,‘ আওয়ামীলীগের জন্মই হয়েছিল হত্যার মধ্যদিয়ে। শেখ মুজিব ১৯৬৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার শাহেদ আলীকে সংসদে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। আওয়ামীলীগের ইতিহাসই ছিল হত্যার ইতিহাস, ২০১০ সালে ক্ষমতায় এসে ২০ থেকে ২৩ এ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিল খানায় বাংলাদেশের গর্ব সেনাবাহীনির ৫৭ জনকে তারা হত্যা করেছিল, যা একটি যুদ্ধেও এত সংখ্যক অফিসার শহীদ হয়নি।’

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে আরও বলেন, ‘২০১৩ সালে তথাকতিত ওই ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল থেকে আল্লামা সাঈদির মিথ্যা মামলায় রায় দিয়েছিল, সেই প্রতিবাদে যখন সাড়া বাংলাদেশ ফুসে উঠেছিল তখন ওই কুরআন প্রেমিক জনতার বুকে ওই খুনি হাসিনার নির্দেশে গুলি করে ৩০০ মানুষকে হত্যা করেছে। ৫ মে শাপলা চত্বরে এই দেশের শ্রেষ্ট সন্তান আলেম সমাজ একত্রিত হয়েছিল নাস্তিকদের বিচারের দাবীতে, তখন ভারতের প্রেসক্রিপশনে খুনি হাসিনা রাতের আঁধারে হাজার হাজার আলেমকে গুলি করে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার হাত হাজারো, লাখো মানুষের রক্তে রঞ্জিত, হাজারো আলেমের রক্তে রঞ্জিত।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গে একটু দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন বারান্দায় অপেক্ষা করেছি, দরজায়,দরজায় কেঁদেছি। কিন্তু ওই খুনি হাসিনার জন্য আমাকে দেখা করতে দেয়নি। পৃথিবীর কোনো আইনে আছে মৃত্যুপথযাত্রীর বাবার সঙ্গে তার সন্তানকে দেখা করতে দেয় না, তারা পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা করেছে এই খুনি শেখ হাসিনা। এই সব কারণেই তার পতন হয়েছে।’ 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়েত আমীর অধ্যাপক বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জাল হোসেন ফরিদি, নায়েবে আমীর, আব্দুর রব, সেক্রেটারী অধ্যক্ষ জহিরুল হক, জেলা জামায়াতের সদস্য ড.আব্দুল্লাহীল আল-মাহামুদ, উপজেলা আমীর আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি কাজী মো. মোসলেউদ্দীন, বাংলাদেশ ইসলামীক লইয়াস ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এ্যাড. আবু সাঈদ মোল্লা, সাবেক ছাত্র নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রশিবির সভাপতি আবু হানিফ শেখসহ আরও অনেকে।