জুলাইয়ের গণহত্যাকারীদের ক্ষমার অধিকার কারও নেই: জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:২১
শেয়ার :
জুলাইয়ের গণহত্যাকারীদের ক্ষমার অধিকার কারও নেই: জামায়াত আমির

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। এ গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষমা করার অধিকার কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।

রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির দেশে ‘হিংসার ও প্রতিশোধের রাজনীতির’ অবসান চেয়ে বলেছিলেন, ‘দল হিসেবে আমাদের ওপর যা করা হয়েছে, আমরা আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিলাম।’

ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এই গণহত্যা ক্ষমা করার কারও অধিকার নেই। দল হিসেবে সাড়ে ১৫ বছর আমাদের সঙ্গে যে বৈরিতা করা হয়েছে, আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে, অফিসগুলোতে তালা ঝোলানো হয়েছে, আমাদের স্বস্তির সঙ্গে চলতে দেওয়া হয়নি, দফায় দফায় আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে বিভিন্নভাবে। শেষ পর্যন্ত দিশাহারা সরকার শেষ মুহূর্তে আমাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের কলিজা ঠান্ডা করেছে। আমরা বলেছি প্রতিশোধ নেব না। এর মানে হচ্ছে আমরা আইন হাতে তুলে নেব না। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অপরাধ যিনি করেছেন, তার বিরুদ্ধে মামলাও হবে এবং তাকে সে মামলায় শাস্তিও পেতে হবে।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমনের চেষ্টার কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন,‘এটা ছিল সুস্পষ্ট গণহত্যা। শুধু স্থলভাগে নয়, আকাশ থেকেও গুলি চালানো হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের লাশ গুম করে দেওয়া হয়েছে।’

আশুলিয়ার ঘটনা উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘সেখানে ট্রাকের (ভ্যান) ওপর লাশের স্তূপ। তারপর ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন। আমরা কোন সভ্যতায় বসবাস করছি। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাব, এই গণহত্যা যারা সংঘটিত করেছে, অবশ্যই তাদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে।’

গত সাড়ে ১৫ বছরে সারাদেশে দলের নেতা-কর্মীদের গুম, খুন, নির্যাতন, কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া, গ্রেপ্তার, মামলার ঘটনা তুলে ধরেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শুধু জামায়াত নয়, বিরোধী দল বিএনপি, হাজারো ওলামায়ে কেরামের ওপর একই ধরনের তাণ্ডব চালানো হয়েছিল। যদিও জামায়াতের ওপর তাণ্ডব ছিল ভিন্নমাত্রা, ভিন্ন গভীরতার।’

শত শত ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত এ পরিবর্তনকে কেউ যাতে ব্যর্থ করে দিতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।