ইসি-দুদকে বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের বসিয়ে রাখা হয়েছে: ডা. জাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৯
শেয়ার :
ইসি-দুদকে বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের বসিয়ে রাখা হয়েছে: ডা. জাহিদ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেললনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এখন অতীব জরুরি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা, অতীব জরুরি দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠন করা। কারণ এই দুটি প্রতিষ্ঠানে বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। এই সমস্ত সুবিধাভোগীদের ঝেটিয়ে বিদায় করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা আশা করি, এই সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল তারা তাদের সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

শেখ হাসিনা শাসনামলে গঠিত নির্বাচন কমিশন তাদের ‘তল্পিবাহক’ ছিল বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তাদের গঠন করা নির্বাচন কমিশন বহাল তবিয়তে বসে আছে। আমি মনে করি, এই নির্বাচন কমিশনের বোধদয় হওয়া উচিত জনগনের রোষ থেকে বাঁচার জন্য পদত্যাগ করে এই সরকারকে সুযোগ দেওয়া উচিত নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের। অন্যথায় সত্যিকার অর্থে জনরোষ থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।’

দুদকের সমালোচনা করে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দুদকের যে সমস্ত কমিশনার ও কর্মকর্তারা এখনো বসে আছেন বিগত সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে, অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বলব অতীব জরুরি দুদক পূণর্গঠন করা। কারণ দুদকে পতিতদের আত্মীয়-স্বজন, উনাদের সুবিধাভোগী লোকজনকে বসিয়ে রেখে তৎকালীন বিরোধীদলসহ দেশের মানুষের ওপর র্নিযাতন চালানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে ১৮ লাখ কোটি টাকা বলেন আর ১৫ লাখ কোটি টাকা বলেন পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে হলে, ব্যাংক লুটের অর্থ ফিরিয়ে আনতে হলে, সেই সংবাদকর্মী হোক, চিকিৎসক হোক, স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি বের করতে হলে, আইসিটির দুর্নীতি বের করতে হলেও অথবা গেটওয়ের দুর্নীতি বের করতে হলেও শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন দরকার। নির্মোহভাবে যারা দায়িত্ব পালন করবেন এসব সুবিধাভোগীদেরকে ঝেটিয়ে বিদায় করা সরকারের দায়িত্ব।’

সংবাদ সম্মেলনে বন্যাদুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ১৩ কোটি টাকার ত্রাণসামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান বিএনপির ত্রাণ কমিটির প্রধান জাহিদ হোসেন।

তিনি জানান, বন্যার্তদের জন্য খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ আরও দুইদিন চলবে। এরপর বিএনপি পুনর্বাসন কাজে নামবে। এর মধ্যে থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় ,মানুষের বাড়িঘর নির্মাণে সহযোগিতা করা, গবাদিপশু দিয়ে সহায়তা করা, বীজ সরবারহ করা, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই, খাতা প্রভৃতি দেওয়াসহ বিএনপির স্থানীয় নেতারা সহযোগিতা করবে। 

ডা. জাহিদ বলেন, ‘একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, আমরা তো সরকার না। সরকার তার নিজস্ব কার্যক্রম করছে। সরকারের পাশাপাশি বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যক্তি ও জনগণের দল- সেই জন্য দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরামর্শক্রম এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় এই ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। আমরা বিএনপি পরিবার বন্যার্তদের পাশে আছে, থাকবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, তাইফুল ইসলাম টিপু।