রিমান্ডে অসুস্থ হাজী সেলিম, কারাগারে প্রেরণ

আদালত প্রতিবেদক
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৩
শেয়ার :
রিমান্ডে অসুস্থ হাজী সেলিম, কারাগারে প্রেরণ

ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে ৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার দুইদিন পরই আদালতে হাজির করা হয়। পরে অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনা করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ আদালত।

আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এর আগে মহানগর ডিবি কার্যালয়ে রিমান্ডে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ সেলিম। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক)। সেখান থেকে আজ বুধবার সকালে আবারও আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এর আগে একই আদালত লালবাগ আইডিয়াল কলেজের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় গত ২ সেপ্টেম্বর হাজী সেলিমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আজ বুধবার আদালতে রিমান্ড ফেরত প্রতিবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর আক্কাস মিয়া উল্লেখ করেন, আসামি হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে (৬৬) রিমান্ডে নিয়ে মামলার বিষয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আসামির কাছ থেকে মামলার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আসামি কথা বলতে পারেন না এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং তিনি কথা বলতে না পারায় তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয় নাই। আসামির ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড হলেও তার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় এবং কথা বলতে না পারায় তাকে রিমান্ডে রাখিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব নয়। বিধায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক তাকে আপাতত আর জিজ্ঞাসাবাদ না করে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিকে ভবিষ্যতে আরও রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। তাই মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছিল, ২০২৪ সালের ৫ জুনের পর সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ১৪ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ সম্বোধন করলে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দেন। উক্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রতিহত করতে এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা শিক্ষার্থীদের নিধনের ঘোষণা দেন। এরই ফলশ্রুতিতে বর্ণিত আসামিদের নির্দেশে গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর আজিমপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও গুলি বর্ষণ করে। এতে ইফতি, জুবায়ের, তানভীর, ইসমাইলসহ অনেক ছাত্র-জনতা আহত হন। তাদের মধ্যে বাদীর ছেলে আইডিয়াল কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিতে মারা যান। 

 গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বংশাল থানা এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।