নিজ সংসদীয় এলাকায় সালমান এফ রহমানের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা
ঢাকার নবাবগঞ্জে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের (দোহার-নবাবগঞ্জ) সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সালমান এফ রহমানকে প্রধান আসামি করে ১৭৩ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে নবাবগঞ্জ থানায় এ মামলা উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের ভৌরাহাটি শেখ বাবুলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম।
এ মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কিসমত, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার আহমেদ হৃদয় মিয়াসহ নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতাকর্মী ও নবাবগঞ্জের কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানদের।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলানকে কেন্দ্র করে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের জন্য গত ৫ আগস্ট সকাল অনুমানিক ১০টার দিকে নবাবগঞ্জ শহীদ মিনারের সামনের পাকা রাস্তার বাদীসহ স্থানীয় সাধারণ জনগণ এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও বিক্ষেভ কর্মসূচি পালনের জন্য অবস্থান করেন। এ সময় প্রধান আসামি সালমান ফজলুর রহমানের পরোক্ষ হুকুমে উপরোক্ত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, গান পাউডার, ককটেল বোমাসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ধারালো রামদা, লোহার রড, কাঠের/বাঁশের লাঠি, হকিষ্টিক আরও অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বাদীসহ সাধারণ জনগণ ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
এ ছাড়া আন্দলনরত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের লক্ষ করে ছিটা গুলি করেন। উক্ত ছিটা গুলি বাদীর মাথায়, পায়ে, হাতে ও পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে। এতে তিনি গুরুতর জখম হন।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, এ ছাড়া ৭টি ককটেল রাস্তার ওপর নিক্ষেপ করলে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। তখন উপস্থিত ছাত্র-জনতার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। বাদীসহ আঘাতপ্রাপ্ত অন্যান্য ছাত্র-জনতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। ৬ আগস্ট কর্তব্যরত ডাক্তার অস্ত্রপচার করে বাদীর শরীর থেকে ২৭টি ছিটা গুলি করেন করেন।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ জালাল বলেন, ১৭৩ জনকে এজাহার নামীয়, ২৫০/৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রযেছে।
নাজমুল হোসেন
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
মোবাইল. ০১৭২১৫৫৬৬৩৫