সময় বেঁধে দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করলেন চিকিৎসকরা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসে আগামীকাল সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন চিকিৎসকরা। আজ রবিবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা এ ঘোষণা দেন।
এরআগে, বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সভাকক্ষে কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের প্রতিনিধি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
বৈঠক শেষে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডাক্তাররা যে ৪ দফা দাবি দিয়েছেন সেগুলো যৌক্তিক। দ্রুত সমাধান করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। মানুষের সেবায় ডাক্তারদের যে অবদান বা তাদের পেশাদারিত্ব সেটি অন্যকিছু দিয়ে রিপ্লেসমেন্টের কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘ডাক্তারদের ওপর যে হামলা হয়েছে সেটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দেশের বিভিন্ন জায়গাতে এসব হামলা হয়েছে। যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের রাজনৈতিক দল-মত আদর্শের ঊর্ধ্বে ওঠে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এদের পেশাদারিত্বের জায়গাটি যেন সবসময় নিরাপদ থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কোনো কারণে যদি ডাক্তাররা তাদের কর্মস্থলে নিরাপদ বোধ না করেন তাহলে কোনোভাবে রোগীদের সুষ্ঠু সেবা দেওয়া সম্ভব নয়।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘সভায় ডাক্তাররা যে চার দফা দাবি দিয়েছেন সেটি নিয়ে কথা হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে এসব দাবির ব্যাপারে খুবই পজিটিভ মনে হয়েছে। আমরা আশা করি খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব সমস্যার সমাধান হবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
গতকাল শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হট্টগোল হয়। মৃত আহসানুল ইসলাম (২৫) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। তার মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ঢামেকের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে গতকাল বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ঢামেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এরপর আজ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকরা।