প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইসলামি ৭ দলের বৈঠক, যেসব প্রস্তাবনা দিলেন নেতারা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে সাতটি ইসলামি দল। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা করেছে দলগুলো।
বৈঠক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনসহ সমস্ত বৈষম্যমূলক প্রতিষ্ঠান, যেটি দলীয় ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়েছে, সেটিকে ঢেলে সাজাতে হবে। নতুনভাবে সংস্কার করে যেন নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যায়। তার জন্য আমূল পরিবর্তনের একটি সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন করা যায়, সেই ধরনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মৌলিক প্রস্তাবনা আমরা দিয়েছি। এ ছাড়া বিচার বিভাগ প্রশাসন ও শিক্ষাসহ বিশেষ করে এককেন্দ্রিক ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর পদ যেখান থেকে স্বৈরতন্ত্রের উদ্ভব, সেই জায়গাটিকে যেন ভারসাম্য তৈরি করা হয়। এ জন্য সাংবিধানিক প্রস্তাব করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মামুনুল হক বলেন, ‘সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থার বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে, সেটি যেন পুনর্বহাল করা হয়। সংশোধনী এনে তা পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছি। দুই বারের বেশি কেউ যেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না পারে এ প্রস্তাবনা করেছি।’
হেফাজতে ইসলামের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘২০১৩ ও ২০২১ হেফাজতের বহু নেতাকর্মী শহীদ গুম হয়েছেন এ বিষয়ে একটি সুন্দরও সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন করার দাবি জানিয়েছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদেরকে বিচারের ব্যবস্থা আনতে হবে। ইসলামবিরোধী কোনো আইন যেন না হয়, সে বিষয়ে আমরা প্রস্তাবনা জানিয়েছি। হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা হয়েছে তা অতি দ্রুত নির্বাহী আদেশে বিচারিক প্রক্রিয়া প্রত্যাহারের দাবি করেছি। সেটি এক মাসের মধ্যেই যেন শেষ করা হয়।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বৈঠকে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বলে জানান মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘যৌক্তিক সময় নিয়ে, কালবিলম্ব না করেই যেন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করে এ বিষয়ে আমরা দাবি জানিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা ও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে কালবিলম্ব না করে তারা নির্বাচনে দিকে দিতে আগ্রহী, সেটি প্রকাশ করেছেন।’