সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, আটক ৯
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় এক দালাল ও নারী-শিশুসহ ৯ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সদস্যরা (বিজিবি-৫৬)।
গতকাল বুধবার দিনগত গভীর রাত ৪টার সময় উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের গোলাপদীগছ এলাকায় নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন শুকানী বিওপির টহল টিম তাদের আটক করে।
আটকরা হলেন- দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিনষপুর গ্রামের মদন দাসের ছেলে রমেশ দাস (৩৮), রমেশের ছেলে পল্লব দাস (১২), সুশীল দাসের ছেলে প্রশান্ত দাস (১০), মদন দাসের ছেলে সুশীল দাস (৩৯), অধীর দাসের মেয়ে পাতলী রাণী দাস (৩৪), অধীকান্ত দাসের মেয়ে আরতী দাস (৩৭), সুশীল দাসের মেয়ে সুবর্ণা দাস (১৮), অলিল দাসের ছেলে পরিমল দাস (২৮)। একই সময় আটক হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের গোলাপদীগছ গ্রামের ইসলাম আলীর ছেলে দালাল সাইদুল ইসলাম হনু (৪৪)।
৫৬ বিজিবি শুকানী বিওপির ল্যান্স নায়েক সওকত হোসেন বলেন, বাংলাদেশি কয়েকজন নারী-পুরুষ ও শিশু ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। খবর পেয়ে আমাদের বিওপির ছয় সদস্যের একটি দল সীমান্ত পিলার ৭৩৯/৪-এস এর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলাপদীগছ নামক গ্রাম থেকে তাদের আটক করে। পরে স্থানীয় একজনের বাড়িতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের শুকানী বিওপিতে আনা হয়। আটক ৯ জনের মধ্যে একজন দালাল রয়েছেন।
জানা গেছে, একই দিন রাতে তারা গোলাবদীগছ গ্রামে অবস্থান নিয়েছিলেন। তবে কি কারণে তারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছিলেন তা জানা যায়নি। তাদের তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তাদের নামে অনুপ্রবেশের চেষ্টার মামলা হবে। তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘আটকরা অনেকটা ভীত হয়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে তাদের কেউ ভয় দেখিয়ে ভারতে যেতে বাধ্যও করেনি বলে আমাদের জানিয়েছে তারা। আমরা তাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে আশস্ত করেছি। সেই সঙ্গে বিজিবি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। তবে আটক স্থানীয় ব্যক্তি সাইদুলকে পূর্বের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে।’