শিক্ষকের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে ফেল করানোর অভিযোগ
নাটোরে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় অকৃতকার্য করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার দুপুরে কলেজে উপস্থিত হয়ে ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ওই শিক্ষককে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী।
অভিযুক্ত সেলিম রেজা (৩৭) নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা (এন.এস) সরকারি কলেজের শিক্ষক। তিনি বাংলা বিভাগের প্রভাষক। সেলিম রেজার মোবাইল ফোন থেকে ওই ছাত্রীকে পাঠানো আপত্তিকর লিখিত কথোপকথন পাওয়া গেছে।
অভিযোগে ওই ছাত্রী জানায়, প্রভাষক সেলিম রেজা কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি ভাড়া বাড়িতে প্রাইভেট পড়ান। প্রাইভেট পড়ানোর সময় তিনি দীর্ঘদিন আমার দিকে কু-দৃষ্টিতে তাকানোসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে চলতি বর্ষের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য করেন। পরে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলেন। পরে বিকেলে প্রাইভেট পড়তে গেলে তিনি আমার স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে স্পর্শ করেন ও প্রাইভেটে একা আসার জন্য বলেন। এসব ঘটনা সাইবার টিমের প্রতিষ্ঠাতা সাদাত রহমানকে জানানো হয়। পরে সাদাত রহমানসহ একটি অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়।
সাইবার টিমের প্রতিষ্ঠাতা সাদাত রহমান বলেন, নাটোর নবাব সিরাজ উদ্ দৌলা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সেলিম রেজা একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এমন অভিযোগে আমরা সাইবার টিম এখানে আসি। শিক্ষার্থীকে আজ ছুটির দিন তার প্রাইভেট রুমে আসতে বলেন। পরে সেখানে আমরাসহ যাই। এ সময় সেলিম রেজার মোবাইল ফোন চেক করে আরও অনেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আপত্তিকর মেসেজের প্রমাণ পাই। এ ঘটনায় সেলিম রেজাকে তার প্রাইভেট পড়ানোর বাড়ি থেকে কলেজে আনা হয়। পরে এ ঘটনা কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। আমরা এমন শিক্ষকের বিচার দাবি করছি।
নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজের উপধ্যাক্ষ প্রফেসর আব্দুল বারী মির্জা জানান, কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সেলিম রেজার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ দিয়েছেন একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আরও তদন্ত করে প্রভাষক সেলিম রেজার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
নাটোর সদর থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ জানান, নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সেলিম রেজাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানা হেফাজতে রেখে গেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।