ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ কি শুরু হচ্ছে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৫৭
শেয়ার :
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধ কি শুরু হচ্ছে?

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ সংঘাত। যেকোনো সময় শুরু হয়ে যেতে পারে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ। গতকাল রবিবার পাল্টাপাল্টি হামলার পর পরিস্থিতি আপাতত শান্ত বলেই মনে হচ্ছে। তবে যে কোনো মুহূর্তেই যে অবস্থা পাল্টে যেতে পারে, সেই আশঙ্কাও রয়েছে।

২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের পর এবারই প্রথম এত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এই অঞ্চল। দুই পক্ষই বলছে তারা যুদ্ধ চায় না। তবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে তারা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ কাছে। তারা বেশ কয়েকবার হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েলের সাথে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে লেবাননের কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

সংঘাতের তীব্রতা কম থাকলেও গত কয়েক মাস ধরে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই উত্তেজনা নতুন করে তীব্রতা পেয়েছে। গতকাল রবিবার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে শত শত রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বৈরুতে হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার পর থেকেই তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

হামাস হামলা চালানোর পর থেকেই ইসরায়েলে হামলা চালানো শুরু করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে। এখন প্রায় প্রতিদিনই সীমান্ত এলাকায় সংঘাতের ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত লেবানেন ৫৬০ জন ও ইসরায়েলের ২৯ জন এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

লেভান্ত ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সামি নাদের বলছেন, রোববারের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

যদিও ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ তেমন পরিস্থিতি এড়ানোর চেষ্টা করবে বলে মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘হেজবুল্লাহর ওপর হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েল নিজেদের নিরাপত্তা ও ইসরায়েলের নাগরিকদের সুরক্ষার কথা বলছে। এরমধ্য দিয়ে এটাই বোঝা যায় যে, দেশটি আপাতত বড় আকারে সংঘাতে জড়ানোর দিকে হাঁটতে চাচ্ছে না।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎসের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ইসরায়েল পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ চায় না। তবে তারা পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে জানানো হয়েছে।