ডা. কাজেম আলী হত্যায় ‘জড়িত’ খায়রুজ্জামান লিটন ও পুলিশ কর্মকর্তারা
রাজশাহীর যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমেদের হত্যায় সদ্য সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের সহকর্মীরা।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) সামনে ‘নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ অভিযোগ করেন চিকিৎসকরা।
এ সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ডা. এম. মোরশেদ জামান মিঞা বলেন, ‘ডা. কাজেম আলীর মৃত্যুর পরে আস্তে আস্তে আমাদের কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়েছে। নির্বাচনে যেন বিএনপি-জামায়াত কোনোক্রমে অংশ নিতে না পারে, সেজন্য রাজশাহী সিটির তৎকালীন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের অনুমোদনক্রমে পুলিশ কমিশনারের পরিকল্পনায় এ হত্যা বাস্তবায়িত হয়। এতে গোয়েন্দা সংস্থাও জড়িত। এ হত্যাকাণ্ডে আরএমপি তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) বিজয় বসাক এবং বর্তমানে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত উপকমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরীও জড়িত।’
দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা। যেন আগামীতে এমন জঘন্য অপরাধ ঘটানোর দুঃসাহস কেউ না দেখায়। দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তারা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) রাজশাহীর নেতা ডা. ওয়াসিম হোসেন, ডা. ফারহান ইমতিয়াজ, ডা. মনোয়ার তারিক সাবু, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) রাজশাহীর সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী মহিউদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ডা. মুর্শেদ জামান মিঞা, এনডিএফের নেতা ডা. হাসানুজ্জমান হাসু, ডা. ফজলুর রহমান ভুঁইয়া পাভেল, ডা. শাহানা পারভীন রিতু, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ডা. আপেল মাহমুদ, নিহত চিকিৎসক কাজেম আলীর ছেলে আবরার ফারহান আহম্মেদ সাদ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নিহত চিকিৎসক গোলাম কাজেম আলী আহমদ (৪২) চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তিনি রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখতেন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৪২তম এমবিবিএস ব্যাচের ছাত্র ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন। ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে রোগী দেখে বাসায় ফেরার পথে নগরের বর্ণালী মোড়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। একটি মাইক্রোবাসে এসে খুনিরা তাকে খুন করে চলে যায়।