বন্যাকবলিত এলাকায় মোবাইল নেট সচল রাখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী, কুমিল্লা অন্যান্য অঞ্চলের জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা ও ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বন্যা প্লাবিত ফেনী, কুমিল্লা ও অন্যান্য অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
পদক্ষেপগুলো হলো-
ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এছাড়া বিটিআরসি, বিটিসিএল ও টেলিটক হতে ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার রিপোর্ট অনুযায়ী বন্যা প্লাবিত ১১টি জেলায় মোট ৬ হাজার ৯৮৬ টি সাইটের (টাওয়ার) মধ্যে ৫ হাজার ৪৭৬টি সাইট সচল আছে। অচল টাওয়ারের হার ২১.৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনী এবং খাগড়াছড়ির টাওয়ার। অচল টাওয়ারসমূহ দ্রুত সচল করার ব্যবস্থা অব্যাহত আছে।
বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ৫টি ভি-স্যাট ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
মোবাইল টাওয়ার সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ার শেয়ারিং কোম্পানিদের বিটিআরসি হতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া অপারেটরদের সাথে বিটিআরসি হতে ভার্চুয়ালি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
টেলিকম অপারেটরদের সাইটসমূহ সচল রাখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং বিতরণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বিটিআরসি সমন্বয় সাধন করছে।
টেলিকম অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অটুট রেখে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপের (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ইত্যাদি) ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
দেশের চারটি মোবাইল অপারেটরের সহায়তায় বন্যা কবলিত এলাকার মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য ৫০০ মেগাবাইট ডাটা ফ্রি করা হয়েছে।