অর্থপাচার মামলা থেকে খালাস পেয়ে যা বললেন খন্দকার মোশাররফ
বিদেশে অর্থপাচার মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘২০১২ সালে একটি আইন হলো যে, বিদেশে যাদের সম্পদ আছে, সেটিও ঘোষণা দিতে হবে। ২০১৩ সালের ওই আইন অনুযায়ী বিদেশে থাকা আমার এবং আমার স্ত্রীর সম্পদ ঘোষণা করি। এই ঘোষণার মাধ্যমে ট্যাক্স কর্মকর্তারা আমার থেকে ট্যাক্স গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে ঘোষণার অঙ্ক ধরেই আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কোনো টাকা বিদেশে পাচার করেছি, এমন কিছু তারা প্রমাণ করতে পারেননি। আইনজীবীরা স্বীকার করেছেন যে, আমার বিরুদ্ধে করা এই মামলা কেবলই রাজনৈতিক একটি প্রতিহিংসা।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর অর্থ পাচারের মামলায় খন্দকার মোশারফ হোসেন বিরুদ্ধে এ মামলায় রায় ঘোষণাকারী আদালত চার্জ গঠন করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আবেদনটি খারিজ করে দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্জিত মুদ্রা বিদেশে পাচার করে আইন পরিপন্থী কাজ করেছেন। মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তারের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২.৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড (হিসাব নম্বর- ১০৮৪৯২) জমা করেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই টাকা পাচার করেন বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার