বন্যায় বিপর্যস্ত ৯ জেলা /

বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে নাহিদের কঠোর বার্তা

অনলাইন ডেস্ক
২২ আগস্ট ২০২৪, ১২:২০
শেয়ার :
বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে নাহিদের কঠোর বার্তা

বন্যাকবলিত জেলার এলাকগুলোতে দ্রুত সরকারি-বেসরকারি স্পিড বোট পাঠানোসহ পাঁচ দফা নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অফিসে যান অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। সেই সঙ্গে দিয়েছেন কঠোর বার্তা।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।  

এর আগে ভোর ৪টায় বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না করার অভিযোগে এনে পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাত আহমেদ। দাবিগুলো হলো—

সরকারি-বেসরকারি মালিকানাধীন স্পিডবোট বন্যাকবলিত স্থানে পাঠানো; বিভিন্ন পোর্টে থাকা ছোট ছোট লঞ্চ বন্যাকবলিত এলাকায় পাঠানো; বন্যায় উদ্ধারকাজে নিয়োজিত সব যানবাহনকে কর্তৃপক্ষ থেকে জরুরিভাবে জ্বালানি সরবরাহ করা; সব বেসরকারি ট্রলার ও স্পিড বোটকে ফ্রি করে দেয়া; যতদিন এই দুর্যোগ অবস্থা বিরাজমান থাকবে, তত দিন ২৪ ঘণ্টাই কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রতিটি এলাকায় প্রতিনিধি পাঠানো।

প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থানের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান একজন প্রতিনিধি পাঠান।

এদিকে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম নৌ-পরিবহন কন্ট্রোল অফিসের কার্যক্রম বন্ধ পেয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের কথা জানান। পরে শিক্ষার্থীরা সাড়ে ৬টার দিকে অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ান।

এ সময় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অনতিবিলম্বে সরকারি-বেসরকারি সব বোট দুর্গত এলাকায় নিয়োজিত করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান করে বলুন, প্রধান উপদেষ্টা থেকে নির্দেশ আছে। এক ঘণ্টার মধ্যে কন্ট্রোল রুম চালু করুন। জাতীয় সংকটের সময় যারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানকে যেন আর শিক্ষার্থীদের ঘেরাও করা না লাগে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নেমে কাজ করুন। সব বাহিনী উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের যেন আর নির্দেশনা দেয়া না লাগে।’

এছাড়া ভারতের পানি ছাড়া প্রসঙ্গেওনাহিদ ইসলামি বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্র কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’