টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল /
বাঁধ ভেঙে ফেনীর ৭০ গ্রাম প্লাবিত
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পূর্বের ভাঙ্গা বাঁধের ২৪টি স্থান দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে পানি। এতে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ৭০ গ্রামে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৩ হাজার পরিবার।
এতে ফসলি জমি ও মাছের ঘের বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর গ্রামে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের ফলে ১৪শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, প্রশাসনের নির্দেশে পানিবন্দী এলাকার জনগণের মধ্যে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া জানান, উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ জানান, গত ৭ দিনের একটানা বৃষ্টির কারণে ভারত উজান থেকে নেমে আসা পানি মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পুরনো ভাঙা বাঁধ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর প্লাবিত:
এদিকে ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর প্লাবিত হয়েছে। পানি উঠেছে আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামে। পানির স্রোতে ইতোমধ্যে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়।
আজ বুধবার সকাল থেকে বন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। একপর্যায়ে স্থলবন্দর ছাড়াও বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ১০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। সেই সঙ্গে ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু।