টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
খাগড়াছড়িতে টানা পাঁচ দিনের ভারি বৃষ্টিতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পুরো জেলায় অন্তত ৫০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে সদর উপজেলার মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, গঞ্জপাড়া, ঠাকুরছড়াসহ চেঙ্গী ও মাইনি নদীর পাড়ের নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে।
গত দুই মাসের ব্যবধানে তিনবার পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে শহরতলী ও পৌর এলাকার নদী পাড়ে বসবাসকারী লোকজন। গ্রামগুলো পানিতে ডুবে গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।
একই অবস্থা খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং, কবাখালি ও বোয়ালখালি ইউনিয়নে। খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের কবাখালি এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ আছে। বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেরুং ইউনিয়ন। এতে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ১০টির বেশি। এছাড়া খাগড়াছড়ি-লংগদু সড়কের মেরুং হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
মেরুং ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম ত্রিপুরা বলেন, ‘ইতোমধ্যে পানি উঠতে শুরু করেছে। প্রায় ২০টির মতো গ্রাম প্লাবিত। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবেন তাদের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে খাবার ব্যবস্থা করা হবে। সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় লংগদুর সঙ্গে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘পানি নিচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। আমরা ২১টা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। বন্যা দুর্গতরা আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠার পর তাদের রান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।’