সাতক্ষীরার সাবেক এসপিসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা
১৯ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৫৪
শেয়ার :
সাতক্ষীরার সাবেক এসপিসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইনামুল হকসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শহরের কামালনগরের একটি মেসে তৎকালীন ছাত্র শিবিরের শহর সেক্রেটারি আমিনুর রহমানকে হত্যাসহ ৭ জনকে গুলি করার অভিযোগে ওই মামলা দায়ের করা হয়। 

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ০১ আদালতের বিচারক নয়ন বড়ালের আদালতে জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম (৫৪) বাদী হয়ে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে এ মামলা দায়ের করেন।  

আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বাবলা বলেন, ‘২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শহরের কামালনগরের একটি মেসে পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইনামুল হকের নের্তৃত্বে অভিজান পরিচালনার নামে তৎকালীন ছাত্র শিবিরের শহর সেক্রেটারি আমিনুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে। এসময় মেসে থাকা আরও ৭ জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ কাছ থেকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতর কারণে পুলিশ তখন আমাদের মামলাটি আমলে নেয়নি। এখন আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। 

মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরার তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মো. ইনামুল হক, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম রনি, যুবলীগ নেতা এসএম ইউসুফ সুলতান, ডিবির আলি হোসেন, কামালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোকছেদ সরদারের ছেলে মো. বাবর আলী, আবুল কাশেম (এসআই), হুমায়ূন কবীর (এসআই), বিধান কুমার বিশ্বাস (এসআই), ইয়াছিন আলী (এসআই), লিটন বিশ্বাস (এএসআই), কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল বেলায়েত হোসেন, কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, কনস্টেবল বাবুল হোসেন, কনস্টেবল ফারুখ হোসেন, কনস্টেবল শেখ আলম, এসআই আব্দুল হান্নান, এসআই হান্নান শরীফ, এসআই আবুজার গিফারী, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, কনস্টেবল রাসেল মাহমুদ, কনস্টেবল ওমর ফারুক, কনস্টেবল আব্দুর রহমান, কনস্টেবল আবিদুর রহমান, কনস্টেবল আসাদুজ্জামান, কনস্টেবল বদরুল আলম ও তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা।