স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি রোবেদসহ কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব (ভারপ্রাপ্ত) নিয়েছেন অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন। ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ‘স্বৈরাচার হাসিনার পক্ষের শক্তি’ উল্লেখ করে তাকে প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (ড্যাব) অধিদপ্তরের সাধারণ চিকিৎসকরা। একইসঙ্গে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমদুল কবির, অধ্যাপক ডা. বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া এবং নিপসম পরিচালক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদীসহ স্বৈরাচারের দোসর সকল কর্মকর্তাদের পদত্যাগ চেয়েছেন তারা।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে ড্যাবের চিকিৎসকরা এসব দাবি করেন।
তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক-কর্মচারী আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পক্ষ নিয়ে করা শান্তি সমাবেশ, এমনকি হাসিনার পতনের আগের দিনও মিছিল ও রাজপথে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমদুল কবির, অধ্যাপক ডা. বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া এবং নিপসম পরিচালক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদীসহ যারাই এতোদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে লুটেপুটে খেয়েছে, তাদেরকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এ সময় ড্যাবের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শাখার সভাপতি ডা. ফারুক বলেন, বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা রোবেদ আমিনকে মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগের আদশে মানেন না। তাই আমরা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছি। অধিদপ্তরে মহাপরিচালকের অফিসে তাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, রোবেদ আমিন একজন সুবিধাবাদী লোক। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে তিনি অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ (এনসিডিসি) শাখার পরিচালক হিসেবে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
আরেক চিকিৎসক বলেন, আওয়ামী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ডানহাত বলে পরিচিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বিগত ১৫ বছর যাবত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রভাব খাটিয়ে স্বাস্থ্যখাতে নিয়োগ বানিজ্য, বদলী বানিজ্য করেছেন। এই কাজে তার অন্যতম সহযোগী ছিল সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকের ছেলে। অবৈধ আয়ের মাধ্যমে রাজধানীর বাড্ডায় একটি বেসরকারী হাসপাতালের মালিক বনে গিয়েছেন। কোনোভাবেই তারা আর বহাল থাকতে পারে না।