ঘরের আড়ায় ঝুলছিল মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহ, কারণ খুঁজছে পরিবার
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল রোমানা আক্তার (১৫) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহ। ঘরের জানালা দিয়ে বিষয়টি দেখে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করেন। কিন্তু গলায় ফাঁস নিয়ে ওই নারী কেন আত্মহত্যা করেছেন তা মেলাতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
আজ রবিবার উপজেলার দক্ষিণ খামার বজরা বীরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের গৌরিবল্লভ এলাকার রবিউল ইসলামের মেয়ে রোমানা আক্তার (১৫)। সে একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। পার্শ^বর্তী বজরা ইউনিয়নের দক্ষিণ খামার বজরা বীরপাড়া এলাকার মমিনুল বীরের ছেলে রানা বীরের (২২) সঙ্গে প্রায় ৭ মাস আগে বিয়ে হয়। রবিবার দুপুরে রোমানার শ্বাশুড়ি বাহির থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। এরপর ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পান ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে ফাঁস নিয়েছে রোমানা । এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে গৃহবধূকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। বিকেলে পুলিশ এসে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের স্বজনরা জানান, রোমানা আক্তার গুনাইগাছ রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার স্বামী রানা বীর ১৮ দিন আগে কাজের জন্য ঢাকায় যান। তিনি সেখানে পোশাক কারখানায় কর্মরত আছেন।
নিহত গৃহবধূর নানা হাবিবর রহমান বলেন, নাতনি রোমানা আক্তারের ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। বিষয়টিকে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করলে হয়তো প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফর রহমান জানান, গলায় ফাঁস নিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছেন তিনি।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে।