‘ওখানে পর্নোগ্রাফির শুটিং হয়, দুষ্টুচক্র চলে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৮ আগস্ট ২০২৪, ২১:৪০
শেয়ার :
‘ওখানে পর্নোগ্রাফির শুটিং হয়, দুষ্টুচক্র চলে’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণকাণ্ডে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার দাবি, মেডিকেল কলেজটিতে বাইরে থেকে মেয়ে এনে পর্নোগ্রাফির শুটি হয়। আজ রবিবার পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের আমোদপুরে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত অনশনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, দিলীপ ঘোষ পুরো ঘটনার জন্য এ কলেজের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ, সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার সন্দীপ ঘোষকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘আর জি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ একজন সমাজবিরোধী। ওখানে একটা দুষ্টুচক্র গড়ে তুলেছিলেন। বাইরে থেকে মেয়েদের এনে ফুর্তি করা হতো। ব্লু-ফিল্মের (পর্নোগ্রাফি) শুটিং হতো। যারা এসব জানতে পারত, তাদের হুমকি দেওয়া হতো। হয় এসবে যোগ দাও, নয়ত মেরে ফেলা হবে। এভাবেই ওখানে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়।’

প্রশ্ন তুলে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওখানে কেন কেউ সুইসাইড করতে যাবে? ওটা কি সুইসাইড করার জায়গা? এসব কথা জেনে গিয়েছিলেন শান্তনু সেন (তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সদস্য বহিষ্কৃত নেতা ও দলটির মুখপাত্র)। তিনি নিজেই বলেছেন, তার মেয়েকেও এসবে জড়ানো হচ্ছিল। তাকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, কিন্তু তিনি তো নেতার মেয়ে। তাই কোনোক্রমে বেঁচে গিয়েছে। তবে এই মেয়েটি (ধর্ষণের ফলে নিহত মৌমিতা) তো সাধারণ, আমার-আপনার ঘরের মেয়ে। তাই তার এই অবস্থা।”

বিজেপির এ নেতা বলেন, ‘সন্দীপ ঘোষ ওখানে চক্র চালাচ্ছিলেন। তাকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হলেও ২৮ দিনের মাথায় ফিরে আসেন।’

দিলীপের এসব মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘পর্নোগ্রাফির ব্যাপারটা দিলীপবাবুরা ভালো জানবেন। কারণ, ত্রিপুরা বিধানসভার মধ্যে তাদেরই বিধায়ক বসে বসে মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখছিলেন, তা জানাজানিও হয়। আর তাদের দলের নেতা তথাগত রায় তো বলেছেন, বিজেপি কামিনী-কাঞ্চনের দল। তো এমন দলের নেতাই পর্নোগ্রাফি নিয়ে ভালো বলতে পারবেন। আমাদের তেমন ধারণা নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, দিলীপবাবুর এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে, তিনি সিবিআইকে বলুন।’